শিলিগুড়ি: চাকরি দেওয়ার নাম করে মহিলাকে গভীর রাতে অশালীন প্রস্তাব পাঠানোর অভিযোগ। গণপিটুনি খেলেন জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শীর্ষ স্তরের নেতা। অভিযুক্তকে আটক করেও শেষে ছেড়ে দিল পুলিশ। থানা ঘেরাও বাম-বিজেপির। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বাগডোগরায়। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিবেশী এক মহিলাকে কু-প্রস্তাব দেন ঘাসফুল শিবিরের ওই ছাত্র নেতা। অভিযোগ, দিনের পর দিন গভীর রাতে পাঠানো হত সেই মেসেজ।
কিছুদিনের মধ্যেই মহিলার কাছে সব জানতে পেরে অভিযুক্ত যুবককে চেপে ধরেন তাঁর বাড়ির লোকজন। মারধর করা হয় বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই নেতাকে আটক করে থানাতেও নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও মধ্যরাতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, বাগডোগরায় একটি কলেজে অশিক্ষক কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন ওই নেতা। তাঁর স্ত্রী আবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এখানেই পুলিশ সহ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, শাসকদলের চাপেই অ্যাকশন নিয়েও পিছু হটেছে পুলিশ। এমনকী মহিলার পরিবারের তরফে থানায় যে অভিযোগ জানানো হয়েছে তা তুলে নেওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে এদিন বাগডোগরা থানা ঘেরাও করে এসএফআই, মাঠে নামে বিজেপির ছাত্র যুব মোর্চাও। যদিও এ নিয়ে অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।