Teacher recruitment Scam: মাধ্যমিকে চারবার ফেল করেও প্রাথমিক শিক্ষক! নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কাঠগড়ায় অনিত থাপা, বিনয় তামাং

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 11, 2022 | 2:44 PM

Darjeeling: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ইডি ও সিবিআইকে ফের তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন এই বিজেপি বিধায়ক। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে তিনি বলেন, 'প্রাথমিকে ১২১টি পদ, জুনিয়ার হাই স্কুলে ৩১৩টি পদ ও হাই স্কুলে ৫৯টি পদে বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে।'

Teacher recruitment Scam: মাধ্যমিকে চারবার ফেল করেও প্রাথমিক শিক্ষক! নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কাঠগড়ায় অনিত থাপা, বিনয় তামাং
নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল অনিত থাপা, বিনয় তামাংদের (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

শিলিগুড়ি: নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় রাজ্য। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার গ্রেফতার হন স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা এসপি সিনহা, ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন সহ সচিব অশোক সাহা। এই অবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ও যে সকল দুর্নীতি হয়েছে তা নিয়ে মাঠে-ময়দানে নেমেছে বিজেপি। সেই রকম ভাবেই শিলিগুড়ি থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাধ্যমিকে চারবার ফেল করেও হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক। এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা।

পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ইডি ও সিবিআইকে ফের তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন এই বিজেপি বিধায়ক। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকে ১২১টি পদ, জুনিয়ার হাই স্কুলে ৩১৩টি পদ ও হাই স্কুলে ৫৯টি পদে বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে। পাহাড়ে শিক্ষা দফতর জিটিএ’র অধীনে রয়েছে। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা স্কুল সার্ভিস কমিশন এখনো গঠন হয়নি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। নিয়োগপত্র পেয়েছেন ১২১ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক।’

তিনি বলেন, ‘এনসিটিই অনুযায়ী টেটে বসতে হলে স্নাতক স্তরে পঞ্চাশ শতাংশ নাম্বার থাকার পাশাপাশি ট্রেনিং থাকা বাধ্যতামূলক।কিন্তু এক্ষেত্রে যাঁদের প্রথমে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে পরে তাঁদের স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে এসব কিছুই দেখা হয়নি। ডিস্ট্রিক স্কুলবোর্ডকে সামনে রেখে স্বজন পোষণ হয়েছে। বিপুল টাকা আর্থিক লেনদেন হয়েছে। মেধাবীরা চাকরি পেলেন না। নেতাদের অনুগামীরা চাকরি পেলেন। রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনিত থাপা, বিনয় তামাংরা সুপারিশ করেছেন। সেই কারণে চাকরি হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। পাশাপাশি বিধায়ক বলেন, ‘অনেকেই এমন আছেন, যাঁরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বারংবার ফেল করেও ঘুরপথে এভাবে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। শুধু প্রাথমিক শিক্ষক নয়, হাই স্কুলের ক্ষেত্রেও নিয়োগ হয়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে বিকাশ ভবনের যোগাযোগ ও মদত ছিল। ফলে মূল তদন্তের সঙ্গেই এই তদন্তও হোক।’

অপরদিকে, তৃণমূলের তরফে এই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বর্তমান জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন যে, এমন কোনও দুর্নীতি হয়নি। এর থেকে বেশি কিছু মন্তব্য করতে পারব না।

Next Article