শিলিগুড়ি: চোপড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন তুমুল বিতর্ক চলছে রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে, তখন চর্চায় উঠে আসছে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের নামও। যে যুবতী আক্রান্ত হয়েছে, উল্টে তাঁরই ‘অন্যায়’ খুঁজে বের করছেন বিধায়ক। ‘দুশ্চরিত্র’ তকমা দেগে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শুধু তাই নয়, বিধায়কের বক্তব্যে উঠে এসেছে ‘মুসলিম রাষ্ট্রের সামাজিক আচার বিচারের’ প্রসঙ্গও। ‘মুসলিম রাষ্ট্রের’ প্রসঙ্গ টেনে সেই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য এবার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
চোপড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রবিবার রাতে ওই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের সম্প্রীতির বাতাবরণ নষ্ট করে প্রকাশ্যে ওই মন্তব্য করা হয়েছে। শঙ্কর ঘোষের দাবি, ওই মন্তব্য শুধুমাত্র দেশের সংবিধানকেই অপমান করে না, সঙ্গে ওই মন্তব্যের মাধ্যমে অশান্তির উদ্রেক হওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় তাই ওই মন্তব্যের জন্য বিধায়ক হামিদুল রহমানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছেন শঙ্কর ঘোষ।
ঠিক কী বলেছিলেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান? রবিবার চোপড়ার ভিডিয়া ভাইরাল হওয়ার পর বিধায়ক বলেছিলেন, “মহিলাটি স্বামী ছাড়া অসামাজিক কাজকর্ম করছিলেন। অসামাজিক কাজে গ্রাম্য সালিশি বৈঠক বসেছিল। গ্রাম্য বৈঠকে যা হয়, সেই অনুপাতে বিচার-আচার হয়েছে। আমরাও বলছি না যে ভুল হয়নি। ভুল হয়েছে কিছুটা। গ্রামবাসীরা মিলে এটা করেছে। আমরা দেখছি বিষয়টি। যা হয়েছে সেটা বেশি বেশিই হয়েছে। এর জন্য আমরা দুঃখিত। আগামী দিনে যাতে এটা না হয়, সেটা আমরা চেষ্টা করব।” এরপরই তিনি আরও বলেছিলেন, “অন্যায় তো মেয়েটাও করেছে। নিজের স্বামী, ছেলে-মেয়েকে বাদ দিয়ে দুশ্চরিত্রবান হয়েছে। মুসলিম রাষ্ট্রে সামাজিক আচার-বিচার হয়ে থাকে। কিন্তু বিচারটা যেভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেটা না হয়ে বেশি বেশি হয়ে গিয়েছে।”