শিলিগুড়ি : পাহাড়ে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে জিটিএ নির্বাচনের (GTA Election) দিনক্ষণ। ২৬ জুন ভোট। জারি হয়ে গিয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। কিন্তু বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার (BJP MP Raju Bista) মন্তব্য ঘিরে আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জিটিএ নিয়ে। বিজেপি সাংসদ শুক্রবার জোর গলায় জানিয়েছেন, “জিটিএ নির্বাচন রুখবই।” পাশাপাশি, বিমল গুরুঙের (Bimal Gurung) সঙ্গে দেখা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, মোর্চার পালে হাওয়া দিতে ফের একবার কাছাকাছি আসতে চাইছে বিজেপি। পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের ভোট ঘিরে বিস্তর টানাপোড়েন রয়েছে। এরই মধ্যে বিজেপি সাংসদের এ হেন মন্তব্য ঘিরে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিমল গুরুং আগেই জিটিএ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। জিটিএ ভোটের বিরোধিতায় পাহাড়ে সিংমারিতে অনশন চালাচ্ছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। মোর্চা নেতার বক্তব্য,”কেন্দ্রের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। আবার রাজ্য সরকারও এখন আমাদের কথা শুনছে না।” এই পরিস্থিতিতে রাজু বিস্তা শুক্রবার জিটিএ নির্বাচন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “এই নির্বাচন অবৈধ। জিটিএ চুক্তি ত্রিপাক্ষিক মধ্যস্থতায় হয়েছিল। ফলে কেন্দ্রকে এড়িয়ে এবং চুক্তিকারী মোর্চার বক্তব্যকে এড়িয়ে একতরফা নির্বাচন করা যাবে না।” শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়িতে এক কর্মসূচিতে এসেছিলেন রাজু বিস্তা। সেখানেই জিটিএ ভোটের প্রতিবাদে সুর চড়ান তিনি।
সাংসদ বলেন, “পাহাড়ের সমস্যার সমাধান আগে হওয়া উচিত। তাছাড়া পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কয়েক দশক ধরে হয় না। কার্শিয়াং ও কালিম্পং পুরসভা নির্বাচন এখনও বাকি। এই অবস্থায় সেই সবে নজর না দিয়ে গায়ের জোরে এই নির্বাচন করিয়ে রাজ্য সরকার তাঁর অনুগামীদের পাহাড়ের মসনদে বসাতে চাইছেন। আমি এই সব নিয়ে দিল্লিকে রিপোর্ট দিচ্ছি। সর্বশক্তি দিয়ে এই নির্বাচন রুখব। বিমল গুরুঙের আন্দোলনের পাশেই আছি। নিজে গিয়ে তাঁকে খাদা পড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাব।”
রাজু বিস্তার এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষও। তাঁর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেই পাহাড়ে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উন্নয়নের কাজ করতে হলে নির্বাচিত বোর্ড দরকার। জিটিএ নির্বাচন সম্পন্ন হলে নির্বাচিত বোর্ড পাহাড়ে কাজ করবে। কিন্তু বিজেপির কাজই হল উসকানি দিয়ে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করা। তাই সাংসদ এই সব বলছেন। তাছাড়া পাহাড়ে এখন বিজেপি ক্রমশ মাটি হারাচ্ছে। ওদের গুরুত্ব নেই পাহাড়ে।”