Siliguri: দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও মেলেনি সাড়া, শিলিগুড়িতে বন্ধ ঘর থেকে শিক্ষক দম্পতির দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 30, 2022 | 4:58 PM

Siliguri: খুন নাকি আত্মহত্যা, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।

Siliguri: দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও মেলেনি সাড়া, শিলিগুড়িতে বন্ধ ঘর থেকে শিক্ষক দম্পতির দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য

Follow Us

শিলিগুড়ি: বিগত কয়েক সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের একাধিক প্রান্তের একাধিক খুনের ঘটনার কথা সামনে এসেছে।  কিছুদিন আগে উত্তর দিনাজপুরে (South Dinajpur) নিজের ঘরে থেকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় সুপ্রিয়া দত্ত নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ। যা নিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে গোটা উত্তরবঙ্গে ব্যাপক চাপানউতোর তৈরি হয়। বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে ওই মহিলা খুন (Murder) হন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ছিল পুলিশের। সম্প্রতি, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধানক্ষেত থেকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়। এরইমধ্যে এবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী-স্ত্রীর। ঘটনায় দিনভর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী এলাকায়। 

সূত্রের খবর, এদিন বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির দেহ। স্বামী  উজ্জ্বল কুমার সিনহার দেহ পড়ে ছিল বিছানায়। স্ত্রী দেবলীনা সরকার সিনহার দেহ পড়ে ছিল মেঝেতে। কিন্তু, তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিয়ের পর থেকে উজ্জ্বল শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি পেশায় প্রাইভেট টিউটর। দেবলীনা দেবীও যুক্ত ছিলেন শিক্ষকতার পেশায়। পরিবার সূত্রে খবর, উজ্জ্বলবাবু ও দেবলীনা দেবীর রোজকার রুটিন চলত কার্যত ঘড়ির সময় বেধে। রোজ সকাল ১১ টা নাগাদ তাঁরা বাড়ি থেকে বের হতেন। তারপর নিজেদের কাজ সেড়ে ফিরতেন সন্ধ্যাবেলা। ছুটির দিন বাদে এই রুটিনেই বাধা ছিল দম্পতির জীবন।

কিন্তু, বুধবার সকালে তাঁদের বাড়ি থেকে বের হতে দেখননি স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবারের সদস্যরাও তাঁদের ঘর থেকে বের হতে দেখেননি বলে জানিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করার পরেও বন্ধ ঘর থেকে কারও শব্দ পাওয়া যায়নি। তাতেই বাড়তে থাকে সন্দেহ। এরপরই পরিবারের সদস্যরা কার্যত ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে ফেলেন। ঘরে ঢুকেই চোখ কপালে উঠে যায় সকলের। দেখা যায় দেখা যায় উজ্জ্বল সিনহার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। দেবলীনা দেবীর দেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে। তাঁর মুখ থেকে তখনও রক্ত পড়ছিল। এরপরই খবর যায় শিলিগুড়ি থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে । খুন নাকি আত্মহত্যা, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।

Next Article