Mamata Banerjee: প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ, পাহাড়ের সভা থেকে ঘোষণা মমতার
Mamata Banerjee: মমতা বলেন, "জিটিএকে আরও ৭৫ কোটি টাকা দিচ্ছি। জিটিএ থেকে যিনি অবসর নেবেন, গ্র্যাচুয়িটি পাবেন ২০ লক্ষ টাকা। জিটিএর যে রেগুলার কর্মচারি আছেন ২০০৯ ও ২০১৯ এর পে কমিশন অনুযায়ী তাঁদের বেতন পরিবর্তন হবে।"
পাহাড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Image Credit source: Facebook
Follow Us
দার্জিলিং: পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার একাধিক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেন তিনি। বলেন, পাহাড়ের সঙ্গে এখন তাঁর রক্তের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই পাহাড়কে আরও অনেক কিছু দিতে চলেছে তাঁর সরকার।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন-
দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার ৫৯টি প্রকল্পের আজ উদ্বোধন, শিলান্যাস করলাম। ৩৩ হাজার মানুষ এই সরকারি পরিষেবা পাবেন। তিস্তায় যে দুর্যোগ হয়েছে তাতে ৫৫০-এর বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা তাদের সাহায্য করেছি।
এখানে পাট্টা বন্ধ ছিল। আমাদের সময়ে তা দিয়েছি। চা বাগানেও পাট্টা দেওয়ার জন্য সমীক্ষা শুরু করেছি। নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে।
গতকাল খুব বৃষ্টি হয়েছে। ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষক ভাইবোনরা ভয় পাবেন না। সরকার সহযোগিতা করবে।
উত্তরবঙ্গে শিল্পের উন্নতির জন্য গতকাল মুখ্যসচিব বৈঠক করেছেন। ২৪ হাজার কোটির বিনিয়োগ উত্তরবঙ্গে হচ্ছে। আইটি সেক্টর হচ্ছে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে। অনিত থাপা, শান্তা ছেত্রী অনেকদিন ধরে আমার সঙ্গে ঝগড়া করছে। দিদি দাও দাও করছে। বলেছি, দেবো তো। কাল আবার আমার পরিবারের সঙ্গে বিয়েও হয়েছে পাহাড়ের মেয়ের। আমাদের রক্তের সম্পর্কও তৈরি হয়ে গিয়েছে।
আমার রক্তের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে পাহাড়ের সঙ্গে। জিটিএকে তাই আরও ৭৫ কোটি টাকা দিচ্ছি। জিটিএর কর্মচারিদের আমরা অবসরকালীন সবরকম সুবিধা দিচ্ছি। যাঁরা অবসর নেবেন ২০ লক্ষ টাকা করে গ্র্যাচুইটি পাবেন। ১০ মাসের লিভ এনক্যাশমেন্টও পাবেন।
জিটিএর যে রেগুলার কর্মচারি আছেন ২০০৯ ও ২০১৯ এর পে কমিশন অনুযায়ী তাঁদের বেতন পরিবর্তন হবে।
এখানে বহুদিন ধরে বন্ধ থাকা রিজিওনাল স্কুল সার্ভিস কমিশন অব হিলস চালু করতে চলেছি। ২০০৩ থেকে বন্ধ ছিল। রিজিওনাল স্কিম সার্ভিস কমিশন ফর হিলস করছি আমরা। এর ফলে পাহাড়ে ১৪৬ আপার প্রাইমারি সেকেন্ডারি স্কুলে যে ৫৯০টি শিক্ষক শূন্যপদ আছে, আমরা তা পূরণ করব।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে অ্যাডহক কমিটি ফর ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড তৈরি হবে। এর ফলে সবরকম সুবিধা পাওয়া যাবে। ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডেও ১ হাজার শূন্যপদ আছে, তাও পূরণ হবে।
চা সুন্দরী প্রকল্পে ৩ লক্ষ শ্রমিক পাকা বাড়ি করে দিচ্ছি। ঘর নিতে চাইলে ঘর নেবেন, পাট্টা নিতে চাইলে পাট্টা নেবেন। সমীক্ষা করে সবটা করছি।
আমি এখানে শিল্প করব। দার্জিলিংয়ে ঘরে ঘরে জল যাবে। দিল্লি করে না, এটা আমরা করি। আমি অনুরোধ করব, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আমরা ২ লক্ষ ছেলে মেয়েকে লোন দেব ব্যবসা করার জন্য।
আগে কার্শিয়াংয়ে থাকার কোনও জায়গা ছিল না। এডুকেশন হাব হচ্ছে এখন। অনেকে পড়তে আসতে চান।
কেউ কেউ আছেন যারা ৫ বছর বাদে বাদে পাহাড়ে কিছু একটা করে, আমাদের উন্নয়ন আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা চাই পাহাড়ে শান্তি থাকুক, তাতে শিল্পপতিরা আসবেন এখানে। আমাদের অনেক কিছু করার আছে। করবই।
গতকাল যখন আমাদের পরিবারের ছেলের বিয়ে শেষ হল, বৃষ্টি শুরু হল। কেন এটা হয় জানেন? আমাদের যে কোনও অনুষ্ঠানের আগে একটু বৃষ্টি হয়। আমি যখন জন্মেছিলাম, মায়ের মুখে শুনেছিলাম বৃষ্টি হয়েছিল। আমি যখন চোেখ মেলেছিলাম রোদ উঠেছিল। দেখো আজ সকালে বৃষ্টি নেই। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। আমাদের অনুষ্ঠানও খুব ভালভাবে হয়েছে।
আমি খুব খুশি দীক্ষার সঙ্গে আমাদের বাড়ির ছেলের বিয়ে হয়েছে। দু’জনই ডাক্তার। সকলেই কিছু না কিছু বলে, তবে আমি পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের একটা রক্তের সম্পর্ক তৈরি করে দিলাম। যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমি আগে ভাবতাম, পাহাড়ে একটা ঘর হলে ভাল হয়। ঈশ্বর একটা ঘর পাইয়ে দিলেন।
যারা উল্টোপাল্টা বলে, ভোটের আগে টাকা দেখায়, তারা আসলে কিছু করে না। আর আমাদের প্রতিশ্রুতি আমাদের রক্ত। আমাদের জান আপনাদের জন্য কবুল।