College Reopening: অধ্যক্ষের ড্রয়ারে ‘শোভা’ পাচ্ছে থার্মাল গান, কলেজে চলছে ঝাড়পোছ, বাইরে পড়ুয়ারা!
Siliguri: নিয়ম মেনেই সকাল সাড়ে দশটা থেকে কলেজের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু, দেখা গেল, কার্যত পড়ুয়ারা কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে জটলা করছেন।
ঠিক কী দেখা গেল এদিন? নিয়ম মেনেই সকাল সাড়ে দশটা থেকে কলেজের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু, দেখা গেল, কার্যত পড়ুয়ারা কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে জটলা করছেন। কারণ, ভেতরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। ভেতরে চলছে ঝাড়পোছের কাজ। পরিষ্কার করা হচ্ছে ক্লাসরুম। রয়েছেন মাত্র জনাদুয়েক সাফাইকর্মী। দেখা নেই অধ্যাপিকাদের। কিছু অ-শিক্ষক কর্মী এসেছেন কলেজে।
অন্যদিকে, কলেজের গেটের বাইরে, কখনও বা মূল ফটকে জটলা করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পড়ুয়ারা। তাঁরা না বাড়ি ফিরতে পারছেন না কলেজের ভেতরে যেতে পারছেন! তাঁদের অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। কারোর বা মাস্ক নেমেছে নাকের তলায়। কেউ বা মাস্কই পরেননি। গোটা কলেজ চত্বরে নেই কোনও কোভিডি বিধি। পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, তাঁদের কোনও পরীক্ষা না করেই কলেজে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু কেন এই অব্যবস্থা? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই তো যথেষ্ট সময় ছিল। তাহলে কেন এমন পরিস্থিতি হল? যদিও কলেজের অধ্যক্ষের দাবি, থার্মাল গান রয়েছে তবে ড্রয়ারে রাখা। কোভিডবিধি মেনেই ছাত্রীদের অনুপ্রবেশ করানো হচ্ছে। থার্মাল গান কি ড্রয়ারে রাখার জন্য, বিশেষ করে যখন স্কুল-কলেজ খুলছে? সে প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মহিলা কলেজের অ-শিক্ষক কর্মীদের কথায়, “আমাদের কোভিড পরিস্থিতিতে সাফাইকর্মীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে দুই। সেই দুইজনেই কাজ করছে। অধ্যাপিকারা কেন আসেননি তা বলতে পারব না। অন্যদিকে, মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করা বা এমন কোনও নির্দেশ আসেনি। তবে, আমরা খবর পাঠিয়েছি। অধ্যাপিকারা আসছেনো। সকলেই চলে আসবেন।”
অন্যদিকে, কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদিকা অভিযোগ করে বলেন, “আজ অনেক নতুন মেয়েদের আসার কথা। তারা এসে তাহলে কী দেখবে! আমাদের কলেজের এই দুর্দশা! আমি খবর পেয়ে এসে দেখি, মেয়েদের মুখে মাস্ক নেই। মেয়েরা কোনও নিয়ম মানছে না। এখনও ক্লাসরুমগুলোর যা অবস্থা তাতে মেয়েরা এসে বসবেই বা কোথায়, ক্লাস করবেই বা কোথায়! এতে তো কলেজেরও বদনাম।”
এদিকে, কলেজে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতির কথা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি কলেজে এসে পৌঁছন কিছু অধ্যাপিকা। তাঁদের দাবি, নিয়ম মেনেই কলেজে ছাত্রীদের অনুপ্রবেশ করানো হচ্ছে। যদিও, ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
করোনার বিষয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করার দায়িত্বও স্কুল-কলেজগুলিকেই দিয়েছে রাজ্য। করোনা সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ‘ডু অ্যান্ড ডোন্টস’-এরও একটি তালিকা রয়েছে বিকাশ ভবনের স্কুল রিওপেন বুকলেটে। সেখানে বলা হয়েছে, জ্বর হলে কোনও অভিভাবক যেন পড়ুয়াকে স্কুলে না পাঠান, কলেজ পড়ুয়ারাও যেন কলেজে না যান। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। তবে অতিমারির কোপ থেকে কী ভাবে পড়ুয়াদের দূরে রাখা যাবে সে বিষয়টিও তাঁদের নজরে রয়েছে।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: Bomb Blast: চলছিল বহুতল নির্মাণের কাজ, আচমকা পায়ে হেঁটে এসে বোমাবাজি ৩ দুষ্কৃতীর!