শিলিগুড়ি: মাটিগাড়ায় স্কুল ছাত্রী নাবালিকা পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকে অত্যন্ত বর্বোরোচিত আখ্যা দিয়েছিলেন বিচারক। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজাও শুনিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত। কিন্তু রায় ঘোষণা হলেও সে সাজা এখনও অধরাই। রোজ চোখের জল ফেলে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন নির্যাতিতার মা।
২০২৩ সালের ২১ অগস্ট মাটিগাড়ায় নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মহম্মদ আব্বাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এক বছর ১৭ দিনের মাথায় ২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করে আদালত। কিন্তু, এখনও কার্যকর হয়নি ফাঁসির সাজা। এদিন মাটিগাড়ায় নির্যাতিতার মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মাথায় জটা রেখেছিলাম। আজও কাটিনি। কারণ আমার মনের আগুন এখনও জ্বলছে। আমরা অভিযুক্তের ফাঁসি চাই। কিন্তু সাজা কার্যকর কবে হবে? কেন করের টাকায় জেলে বসিয়ে রাখা হবে বছরের পর বছর? ওই সময়ে নানা প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম। কিন্তু, এখন আর রাজনৈতিক নেতারা খোঁজ রাখে না আমাদের। রোজ অপেক্ষার প্রহর গুনছি আমরা।
জেলা তৃণমূলের সম্পাদক পেশায় আইনজীবি অত্রি শর্মা বলেন, “মাটিগাড়া মামলায় ফাঁসির সাজা হলেও তা কর্যকর হবে কিনা তা নিশ্চিত করতে রায় পাঠানো হয় হাইকোর্টে। এ ক্ষেত্রেও তা হয়েছে। হাইকোর্ট সব দেখে রায় কার্যকর করতে বা রায় বাতিল করতে পারে। তাছাড়া অভিযুক্তের উচ্চ আদালতে যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকবে। সবশেষে অভিযুক্ত রাষ্ট্রপতির কাছেও যেতে পারেন। দীর্ঘ এই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে রায় সামনে রেখে কারও প্রাণ কেড়ে নেওয়া যাবে কীভাবে?” অন্যদিকে বিজেপির দাবি, আমরাও পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করছি। অভিযুক্তের ফাঁসি কবে হবে সেটা প্রশাসন বলতে পারবে।