শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ লবি। আরজি কর আবহে এই শব্দবন্ধ এখন সবার মুখে মুখে। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে থ্রেট কালচার, নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া, প্রশ্ন ফাঁস সবেতেই শিরোনামে অভীক দে, বিরুপাক্ষদের নাম। ইতিমধ্যেই চাপের মুখে এদের সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে আরও একজনের নাম। তিনি লবির মুখ্য চরিত্র সুশান্ত রায়। তার ডেরায় পৌছাল টিভি ৯ বাংলা।
ডাক্তারেরা বলেন, ইনি উত্তর রায়। জলপাইগুড়ির চোখের ডাক্তার সুশান্ত। ঘটনার দিন তিনিও আরজি করেই ছিলেন। অভিযোগ, তার লবির প্রশয়েই নাকি চরম অরাজকতা স্বাস্থ্য ভবনে। সেই সুশান্তের জলপাইগুড়ির অট্টালিকা ঘিরেও নানা অভিযোগ। বাম আমলে সিপিএমের নেতার ঘনিষ্ট ছিলেন সুশান্ত। সেই সুবাদেই ১৯৯৪ সালে জলপাইগুড়িতে সরকারি জমিতে চোখের চ্যারিটি হাসপাতাল করবেন বলেই বাণিজ্যিক দরে জমি নেন এসজেডিএ থেকে। সেই সময়ে জমির দর কম থাকায় সামান্য দরেই জমি মিলে যায়। তবে গত তন দশকে সেখানে আর চোখের হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি। বরং অট্টালিকা বানিয়ে বসবাস করেন সুশান্ত। বাড়ির নাম রেখেছেন দৃষ্টিদান।
সিসি ক্যামেরায় মোড়া সেই বাড়ির বেল টিপতেই বেরিয়ে এলেন কেয়ারটেকার। সঙ্গে পিছনে পিছনে এল পোষ্য কুকুর। কিন্তু, সাংবাদিক শুনেই বলে দেওয়া হয় ডাক্তারবাবু বাড়ি নেই। জলপাইগুড়ির প্রাক্তন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, “বাণিজ্যিক সরকারি ওই জমির বাজার দর প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। চোখের হাসপাতাল করবেন বলেই খুব কম দামে জমি পেয়েছিলেন সুশান্ত। পরে আর হাসপাতাল গড়ে তোলেননি।” জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার তরফে অঙ্কুর দাস বলেন, “নানা অনিয়ম নিয়ে আমি তেইশ সালেই ইডিকে সব জানিয়েছি। এই জমি কাণ্ড ছাড়াও কোভিডকালে নানা দুর্নীতি হয়েছে।”