দার্জিলিং: কসবা ভ্যাকসিনকাণ্ডের (Fake Vaccination) থেকে শিক্ষা নিয়ে বেসরকারি টিকাকরণ শিবিরে নজরদারি বাড়াল দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। ভ্যাকসিনকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রুখতে এবার ক্যাম্পগুলিতে নজর রাখবে প্রশাসন। তার জন্য বিশেষ নজরদারি কমিটিও তৈরি করা হচ্ছে।
শনিবার শিলিগুড়িতে দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্যমবালম জানান, “আমরা স্বাস্থ্য দফতরের সুপারিশে এই কমিটি গড়ছি। তারাই নজরদারি চালাবে।” শিলিগুড়ি পুরনিগমের কমিশনার সোনম ভুটিয়া জানান, “আমাদের যে কমিটি কোভিডে মৃতদের দেহ ইত্যাদি নিয়ে কাজ করত তারাই খতিয়ে দেখবে শিবিরের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি আছে কি না।” অন্যদিকে পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, “শনিবারই পুলিশ কমিশনার-সহ জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করছি। এসওপি ঠিক করে এদিন থেকেই কাজে নামা হবে।”
গত বৃহস্পতিবার কসবা থেকে দেবাঞ্জন দেব নামে বছর ছত্রিশের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাঁর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ। কারও কাছে তিনি নিজেকে আইএএস পরিচয় দিয়েছেন, কারও কাছে তিনি সেজেছেন পুরসভার অফিসার। এই ভুয়ো পরিচয় ভাঙিয়ে ইতিমধ্যেই কসবা, আমহার্স্ট স্ট্রিট-সহ একাধিক জায়গায় ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা করতে চলেছে লালবাজার
দার্জিলিং জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও শিলিগুড়িতে একাধিক বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই কিছু ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দিয়েছে। কোথায় কোথায় সেই ক্যাম্প হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা এই ক্যাম্পের আয়োজক তারও খোঁজখবর নিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। ব্লকস্তরেও বিডিও এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বেসরকারি উদ্যোগে এলাকায় শিবির করে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি হলে তাতে বাড়তি নজরদারি চালাতে হবে। প্রশাসনের অনুমতি আছে কি না, কারা ওই ভ্যাকসিন দিচ্ছে, কোথা থেকে ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে — সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে দ্রুত জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাতে হবে।