শিলিগুড়ি: উওরেও বৈঠক রাজ্যপাল বোসের। রাজ্যের এগারোটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বুধবার বৈঠক করবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। বর্ধমান বাদে দশ উপাচার্য আগেই শিলিগুড়িতে পৌঁছেছেন। যদিও এই বৈঠক ঘিরে সংঘাত রাজ্য বনাম রাজ্যপালের। গোটা বিষয়কে ভালো চোখে দেখছে না নবান্ন বলে সূত্রের খবর।
গতকাল সকাল সাড়ে আটটায় লেবঙ থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা পৌঁছন রাজ্যপাল। আজ ঠিক দশটা নাগাদ শুরু হবে বৈঠক। সেই বৈঠকে এগারোটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। তার মধ্যে বর্ধমান বাদে দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে আড়াই ঘণ্টার মেগা বৈঠক হতে চলেছে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কী অবস্থা, কোথায় খামতি রয়েছে, আর কী কী প্রয়োজন, কী করলে ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠন আরও ভাল হবে, তা উপাচার্যদের কাছ থেকে জানতে চাইছেন আনন্দ বোস। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আর কীভাবে পরিচালনা করা যায়, সে ব্যাপারেও কথা বলেছেন বলেও খবর।
তবে রাজ্যের অনুমোদনহীন উপাচার্যদের নিয়ে এই বৈঠক ভাল চোখে দেখছে না সরকার বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। গত পরশু অর্থাৎ সোমবার এখানে কালোপতাকা দেখেছেন রাজ্যপাল। আজ আবার তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রস্তুতি তুঙ্গে। সকাল থেকেই বিভিন্ন কলেজের কয়েকশো ছাত্র ছাত্রীর জমায়েত করতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভের প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদও ।
উল্লেখ্য, উপাচার্যদের নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আগে থেকেই চলছিল। সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা না বলেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরই বিরোধ আরও বাড়ে। রাজপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের পারিশ্রমিক ও ভাতা না গ্রহণ করার নির্দেশ দেয় উচ্চ-শিক্ষা দফতর। এই বিজ্ঞপ্তির পর ফের ওই উপাচার্যদের ডেকে পাঠান বোস। দক্ষিণবঙ্গে যখন উপাচার্যদের নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে, তখনই উত্তরবঙ্গেও বৈঠকে রাজ্যপাল। ফলে তিনি শিক্ষার রাশ নিজের হাতে রাখতে চাইছেন ? এ প্রশ্নই উঠছে ওয়াকিবহাল মহলের তরফে।