শিলিগুড়ি : শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ । প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি আজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রিপোর্ট পেশ করেছে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পেশ করা এই রিপোর্টে একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে ৬ জনের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে একজন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তিনি ৪ বছরের বেশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) চেয়ারম্যান ছিলেন। বাগ কমিটির রিপোর্ট নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না তিনি। তবে সুবীরেশবাবু দাবি করলেন, তাঁর আমলে শিক্ষক নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি।
বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যখন দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার স্কুল সার্ভিস কমিশন, তখন সুবীরেশবাবু বলেন, “চেয়ারম্যান থাকাকালে কোনও আপস করিনি। আগের নিয়মেই আমার সময়কালে প্রার্থী শুধু নিজের র্যাঙ্ক দেখবেন এই পদ্ধতি চালু করেছিলাম। কাউন্সেলিংয়ের সময় সবার ব়্যাঙ্ক টাঙানো হত। ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। তখন দুর্নীতি হয়নি।” তাঁর সময়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে এদিন দাবি করলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আজই আদালতে বাগ কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে গত কয়েকজন চেয়ারম্যানের আমলে নানা অনিয়মের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করেছে বাগ কমিটি।
আজ একান্ত সাক্ষাৎকারে সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, “যেহেতু এই মামলা বিচারাধীন তাই এ নিয়ে কিছু বলব না। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বচ্ছ নিয়োগের চেষ্টা আগেও করেছে, এখনও করছে। নিয়োগ যেখানেই হয়, সেখানে কিছু মানুষের অসন্তোষ হয়। অসন্তোষ থাকা মানেই দুর্নীতি প্রমাণিত হয় না। এই যে মামলাগুলো হচ্ছে, এতে নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ” তিনি বলেন, যে প্যানেলের ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছিল সেই প্যানেল অবৈধ একথা আদালত বলেনি। সামান্য কিছু নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিশ্চয় স্কুল সার্ভিস কমিশন তা খতিয়ে দেখবে কেন এমন হল।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি থাকতে পারে বলে স্বীকার করে সুবীরেশবাবু বলেন, “পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি হয়ত ছিল। ওই ক্রটি আছে এবং থাকবেও। কিন্তু, আমার সময়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি।”