শিলিগুড়ি: বিনিয়োগের অভাবে ধুঁকছে আইটি পার্ক। পরিকাঠামো না থাকায় হচ্ছে না উন্নয়ন। যারা জেরে ক্ষুব্ধ কর্মীরাও। ২০১১ সালে শিলিগুড়িতে পথ চলা শুরু করেছিল এই আইটি পার্ক। তৃণমূল সরকারের আমলে মাটিগাড়ার পরিবহন নগরীতে আরও দু’টি আইটি পার্ক গড়ে তোলা হয়। প্রত্যেকটি পার্কে রয়েছে প্রায় ৪২ হাজার স্কোয়ার ফিট এলাকা। রয়েছে ঝা চকচকে বহুতলও।
কিন্তু ওয়েবেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুপ্রিয় বসুর দাবি মাত্র দু’টি বড় কোম্পানি ছাড়া আর কেউ গত ১২ বছরে এখানে আসেনি। ইনসেন্টিভ না থাকা ও আইটি শিল্পে নির্দিষ্ট নীতির অভাবে শিলিগুড়ির আইটি পার্কে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায়নি কোনও বড় আইটি কম্পানী। খাতায়-কলমে ৫০ টি আইটি কোম্পানি এই আইটি পার্কে রয়েছে। তবে সেগুলি সবকটি অতি ক্ষুদ্র কম্পানী। ফলে উত্তরের ছেলে মেয়েরাও আইটি শিল্পে কাজ করার সুযোগ হারিয়েছেন।
শিলিগুড়িতে আইটি পার্কে যে কর্মীরা কাজ করেন, তাঁদের দাবি, এই আইটি পার্কের পরিকাঠামো নেই। ঝা চলচকে ভবন আছে। কিন্তু চারপাশের পরিবেশ ভাল না। রাস্তা খানা খন্দে ভরা। আলো জ্বলে না রাস্তায়। বর্ষাকালে কোমর সমান জল জমে এখানে। গত বারো বছরে বহু বলেও লাভ হয়নি। ফলে নতুন করে কেউ আসতে চান না। আমরাও যেতে পারলেই বাঁচি।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে আইটি সংস্থাগুলি শিলিগুড়িতে কাজ করে তাদের তরফে তন্ময় জানান, “সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। আইটি পার্কে বড় কোম্পানি কিছুই নেই। ছোট-ছোট কম্পানি। এদের অনেকে আবার নানা কল সেন্টার, স্ক্যামে জড়িয়ে পড়ছে। আর আমরা যারা কাজ করছি সরকারি কোনও ইনসেনটিভও পাচ্ছি না। ফলে গন্তব্য ওই ভীন রাজ্য। ঢুকছে শিলিগুড়ির আইটি পার্ক।