Supreme Court Verdict: অঙ্কিতা-ববিতাকে ‘হারিয়ে’ চাকরি পান অনামিকা, আজ ‘হার’ তাঁরও

Prasenjit Chowdhury | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 03, 2025 | 6:22 PM

Jobless: মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম আদালতে প্রথম ওঠে ২০২২ সালের ১৭ মে। অভিযোগ ওঠে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদে তাঁর নিয়োগ বেআইনি। এর পরেই অঙ্কিতা এবং তাঁর পিতা পরেশকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Supreme Court Verdict:  অঙ্কিতা-ববিতাকে হারিয়ে চাকরি পান অনামিকা, আজ হার তাঁরও
বাঁ দিকে অঙ্কিতা, মাঝে ববিতা, ডান দিকে অনামিকা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

শিলিগুড়ি: এসএসসি নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। কিন্তু ববিতার চাকরিও স্থায়ী হয়নি। তাঁর চাকরি পেয়েছিলেন অনামিকা রায়। সুপ্রিম রায়ে ২৬ হাজার চাকরিহারাদের মধ্যে অনামিকাও একজন। চাকরি যেতেই দুই পরীক্ষার খাতা ফেরাচ্ছেন বহু চাকরি হারা শিক্ষক।

মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম আদালতে প্রথম ওঠে ২০২২ সালের ১৭ মে। অভিযোগ ওঠে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদে তাঁর নিয়োগ বেআইনি। এর পরেই অঙ্কিতা এবং তাঁর পিতা পরেশকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তাঁরা সিবিআই-এর মুখোমুখি হন। অঙ্কিতার এই নিয়োগের বিরুদ্ধে  আদালতে গিয়েছিলেন ববিতাই। সেই মামলায় জিতে অঙ্কিতার চাকরি এবং তাঁর বেতন বাবদ পাওয়া ১৪ লাখ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ববিতার সেই চাকরি স্থায়ী হয়নি।

ববিতার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন অনামিকা। ববিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন।  সেই অভিযোগের সত্যতা ধরা পড়ে আদালতে। তারপর সেই চাকরি পান অনামিকা।  জলপাইগুড়ি জেলার মনুয়াগঞ্জের হরিহর হাইস্কুলে রাষ্ট্রবিঞ্জানের শিক্ষিকা হিসেবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০২৩-এ কাজে যোগ দেন অনামিকা। কিন্তু আজ সু্প্রিম রায়ে অনামিকারও চাকরি চলে গেল।

উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখছিলেন তিনি। কিন্তু এই রায়ের পর খাতাও ফিরত দিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন। অনামিকার কথায়,  “উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখছিলাম। আজ চাকরি রইল না। তাই আর খাতা দেখব না৷ কাল খাতা ফেরৎ দেব। কারণ না হলে আগামী দিনে ফের আইনি জটে জেরবার হতে পারি। আমরা যোগ্য ছিলাম। কিন্তু কমিশন সে তালিকা আদালতে দিল না। তাই আমরাও চাকরি হারালাম। এখন সবাই এক তালিকায় চলে এলাম। তাহলে আর কোন অধিকারে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখব?”