শিলিগুড়ি: কার টাকা আকাউন্টে? কারাই বা তুলে নিলেন? বহু প্রশ্ন এতদিন ঘুরপাক খেয়েছে। সবথেকে বেশি চিন্তায় পড়েছিলেন বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে যাদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই কালো কারবার চলেছিল তাঁরাই। খোঁজ নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা জেনেছিলেন এ সবই ধান বিক্রির টাকা। এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট দিতেই সিলমোহর পড়ল টিভি-৯ বাংলার খবরেও। স্তম্ভিত গ্রামের আটপৌরো সহজ সরল মানুষগুলিও।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ বহুবার মিলেছে। ভূতুড়ে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, আবার বেরিয়েও গিয়েছে। গ্রাহকের কেউ জানতে পারেছেন, কেউ আবার জানতেও পারেননি। কালো টাকার ভূতুড়ে লেনদেনের পর মোবাইলে টেক্সক্ট ম্যাসেজ দেখে উদ্বেগে দুশ্চিন্তায় ঘুম ছুটেছে অনেকের। এদিক-সেদিক ছুটে মনের মধ্যে থাকা প্রশ্নের খোঁজ মেলেনি। এই যেমন ধরুন শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ির বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের কথা। কাউকে ঋণ, কাউকে আবার সরকারি প্রকল্পের সুযোগ দেওয়ার কথা বলে এলাকায় ক্যাম্প করেই নথিপত্র নিয়েছিল দালাল চক্র। এরপর এদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করে লাখ লাখ টাকা। পরে তা আবার তুলেও নেওয়া হয়। সব বুঝে পুলিশের দ্বারস্থ হন বাসিন্দারা। গুচ্ছ গুচ্ছ FIR হয়। অভিযোগ, প্রভাবশালীদের চাপে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ছাড়া মূল মাথাদের সেদিন চিহ্নিত করা যায়নি।
ইডি জ্যোতিপ্রিয়র কেসে চার্জশিট দিতেই, এই দিকটি সামনে আনতেই যাবতীয় জমে থাকা প্রশ্নের উত্তর মিলেছে বলেই মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দাবি, সন্দেহটা সেদিনই ছিল। বড় চক্র। পরিকল্পনা করেই এসব হয়েছিল। মূলচক্রীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন অনেকেই।