শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে ডামাডোল অব্যাহত বাম শিবিরে।বেজেছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। এদিকে এরইমধ্যে এবার সিপিএমের(CPIM) অন্দরে বড় ভাঙন ধরেছে শিলিগুড়িতে(Siliguri)। গতকালই অশোক-জিবেশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দল ছেড়েছিলেন এক জেলা কমিটির সদস্যসহ একদল যুব নেতা। এরমধ্যে সদলবলে তাঁরা যোগ দিলেন শরিক দল সিপিআইতে(CPI)। এর জেরে বাম শরিকদের মধ্যেও এ নিয়ে গন্ডগোলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, দলবদলের জোয়ার বাংলার বুকে এই নতুন নয়। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বহু তৃণমূল(Trinamool) নেতাকেই পদ্ম শিবিরে নাম লেখাতে দেখা গিয়েছিল। পরবর্তীতে ফের দল বদলের স্রোতে ভেসে তাঁরা ফিরেছেন ঘাসফুল শিবিরে। কিন্তু, তাই বলে বাম ছেড়ে বামেই? এ নজির সাম্প্রতিক অতীতে দেখতে পাওয়া যায়নি বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের।
সিপিএম এখন ক্ষমতার সিন্ডিকেট। এই অভিযোগ তুলে পদত্যাগী বাম নেতারা রবিবার সিপিআইয়ে যোগ দেন। তাঁদের দাবি, “আমরা তৃণমূল-বিজেপিতে যাইনি। কারণ বামপন্থায় আস্থা আছে। তাই শরিক দলে যোগ দিলাম।” অন্যদিকে সিপিআই নেতা অনিমেষ ব্যানার্জি বলেন, “ওরা বামপন্থী। তাই ওদের আবেদনের ভিত্তিতে আজ থেকে ওদের দলের সদস্যপদ দেওয়া হল।”
এদিকে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও বাম শরিক সিপিআই-র ভূমিকায় রুষ্ট বড় শরিক সিপিএম। দলের নেতাদের একাংশের অভিযোগ সিপিএমের অন্দরে বিদ্রোহ উস্কে দিয়ে কার্যত ঘুরপথে ঘর ভাঙিয়ে নিজেদের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দলত্যাগী ওই বাম নেতাদের। সবটাই হয়েছে পরিকল্পন করেই। শরিক হিসেবে একসাথে থাকলেও এভাবে বিদ্রোহে ঘুরপথে ইন্ধন দেওয়া হলো বলে মনে করছেন সিপিএম নেতারা। যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চাপান-উতর। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশে এখনও রীতিমতো সক্রিয় সিপিআইএমএল। কিন্তু, হালের দলবদলের সুবিধা বিশেষ পায়নি চারু মজুমদারের সৈনিকেরা। যদিও সিপিআইএম ছেড়ে বামফ্রন্টের আরেক শরিকের হাত ধরায় আদপেই ‘ব্রিদোহী’ বাম নেতাদের দলবদলের ‘বিপ্লব’ কোনও দিশা দেখাতে পারে কিনা এখন সেটাই দেখার।