North Bengal University: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে হইচই, এখানেও নাম সুবীরেশের

Prasenjit Chowdhury | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 01, 2023 | 2:54 PM

North Bengal University: সিএজির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে আসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার, সিস্টেম ম্যানেজার, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার, আসিস্ট্যান্ট কিউরেটর, সাইন্টিফিক অফিসার এবং ২০১৯ সালে জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের আকাউন্টস অফিসার, সুপারিনটেনডেন্ট, আসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার পদে নিয়োগেও চূড়ান্ত বেনিয়ম হয়েছে।

Follow Us

শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। সুবীরেশ ভাট্টাচার্যর আমলে দু’দফায় শীর্ষ আট আধিকারিক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠছল এবার। যাবতীয় নিয়ম শিথিল করেই ওই আট আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে হইচই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেশ কিছু দিন ধরেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আমলে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল সিএজি (CAG)। এ নিয়ে দফায় দফায় ক্ল্যারিফিকেশন জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সূত্রের খবর, তাতে বিশেষ সন্তুষ্ট নয় সিএজি। তারা রিপোর্টে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শীর্ষ আধিকারিক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিজ্ঞাপণে দেওয়া যোগ্যতামান না থাকার পরও কম যোগ্যতার প্রার্থীদের শীর্ষ ওই পদগুলিতে নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগে যাবতীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই অনুমোদন দিয়েছিল নিয়োগ কমিটি বলেও সিএজি জানিয়েছে।

সিএজির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে আসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার, সিস্টেম ম্যানেজার, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার, আসিস্ট্যান্ট কিউরেটর, সাইন্টিফিক অফিসার এবং ২০১৯ সালে জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের আকাউন্টস অফিসার, সুপারিনটেনডেন্ট, আসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার পদে নিয়োগেও চূড়ান্ত বেনিয়ম হয়েছে। অথচ এখনও বহাল তবিয়তেই কাজ করছেন এই আধিকারিকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের খবর তৎকালীন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নির্দেশেই শীর্ষ আট আধিকারিক নিয়োগে এই বেনিয়ম হয়েছিল। কিন্তু কেন? প্রশ্ন উঠছে, টাকার বিনিময়ে চাকরি নাকি পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি? উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ এখন এ নিয়ে সোচ্চার। অধ্যাপক সমর বিশ্বাসের দাবি, “প্রচুর যোগ্য প্রার্থী ছিল। অনেক নাম বাদ গিয়েছে। সর্বক্ষেত্রে তদন্ত হওয়া উচিত। সুবীরেশবাবুর সময়ে যা যা নিয়োগ হয়েছে, তদন্ত হলে দুধ কা দুধ পানি কা পানি বেরিয়ে যাবে।”

অন্যদিকে জয়েন্ট রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত জানান, “রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্ট এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে উঠবে। সে হিসাবে ভিসির সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়েছে। আলোচনা হওয়ার পর কী পদক্ষেপ করা হবে তা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল দেখবে। কর্তৃপক্ষ যারা ছিল, তাদের নির্দেশমতো যা হওয়ার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিস্টেমে উপাচার্যই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। নিশ্চয়ই তাঁর অনুমোদন ছিল বলেই এই নিয়োগগুলো হয়েছে।”

বিষয়টি সামনে আসতেই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, “বিরোধী দলনেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। বিধানসভায় বিষয়টি তুলব। তৃণমূল জমানায় দুর্নীতি এখানে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছিল। উপাচার্য জেলে গিয়েছেন। সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত হোক।”

অন্যদিকে শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের বক্তব্য, “বিজেপি অনেক কিছুই বলতে পারে। তবে সিএজি কী বলেছে তা চূড়ান্ত না জেনে বলে লাভ নেই। আর সবকিছুতে রাজনীতি দেখাও ঠিক না। কীভাবে নিয়োগ হয়েছে, ওই পদে ওনারা যোগ্য কি না, ওনাদের শিক্ষাযোগ্যতা কী সেগুলি তো আমরা বাইরে থেকে এভাবে বলে দিতে পারি না।”

শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। সুবীরেশ ভাট্টাচার্যর আমলে দু’দফায় শীর্ষ আট আধিকারিক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠছল এবার। যাবতীয় নিয়ম শিথিল করেই ওই আট আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে হইচই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেশ কিছু দিন ধরেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আমলে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল সিএজি (CAG)। এ নিয়ে দফায় দফায় ক্ল্যারিফিকেশন জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সূত্রের খবর, তাতে বিশেষ সন্তুষ্ট নয় সিএজি। তারা রিপোর্টে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শীর্ষ আধিকারিক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিজ্ঞাপণে দেওয়া যোগ্যতামান না থাকার পরও কম যোগ্যতার প্রার্থীদের শীর্ষ ওই পদগুলিতে নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগে যাবতীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই অনুমোদন দিয়েছিল নিয়োগ কমিটি বলেও সিএজি জানিয়েছে।

সিএজির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে আসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার, সিস্টেম ম্যানেজার, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার, আসিস্ট্যান্ট কিউরেটর, সাইন্টিফিক অফিসার এবং ২০১৯ সালে জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের আকাউন্টস অফিসার, সুপারিনটেনডেন্ট, আসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার পদে নিয়োগেও চূড়ান্ত বেনিয়ম হয়েছে। অথচ এখনও বহাল তবিয়তেই কাজ করছেন এই আধিকারিকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের খবর তৎকালীন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নির্দেশেই শীর্ষ আট আধিকারিক নিয়োগে এই বেনিয়ম হয়েছিল। কিন্তু কেন? প্রশ্ন উঠছে, টাকার বিনিময়ে চাকরি নাকি পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি? উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ এখন এ নিয়ে সোচ্চার। অধ্যাপক সমর বিশ্বাসের দাবি, “প্রচুর যোগ্য প্রার্থী ছিল। অনেক নাম বাদ গিয়েছে। সর্বক্ষেত্রে তদন্ত হওয়া উচিত। সুবীরেশবাবুর সময়ে যা যা নিয়োগ হয়েছে, তদন্ত হলে দুধ কা দুধ পানি কা পানি বেরিয়ে যাবে।”

অন্যদিকে জয়েন্ট রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত জানান, “রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্ট এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে উঠবে। সে হিসাবে ভিসির সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়েছে। আলোচনা হওয়ার পর কী পদক্ষেপ করা হবে তা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল দেখবে। কর্তৃপক্ষ যারা ছিল, তাদের নির্দেশমতো যা হওয়ার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিস্টেমে উপাচার্যই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। নিশ্চয়ই তাঁর অনুমোদন ছিল বলেই এই নিয়োগগুলো হয়েছে।”

বিষয়টি সামনে আসতেই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, “বিরোধী দলনেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। বিধানসভায় বিষয়টি তুলব। তৃণমূল জমানায় দুর্নীতি এখানে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছিল। উপাচার্য জেলে গিয়েছেন। সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত হোক।”

অন্যদিকে শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের বক্তব্য, “বিজেপি অনেক কিছুই বলতে পারে। তবে সিএজি কী বলেছে তা চূড়ান্ত না জেনে বলে লাভ নেই। আর সবকিছুতে রাজনীতি দেখাও ঠিক না। কীভাবে নিয়োগ হয়েছে, ওই পদে ওনারা যোগ্য কি না, ওনাদের শিক্ষাযোগ্যতা কী সেগুলি তো আমরা বাইরে থেকে এভাবে বলে দিতে পারি না।”

Next Article