শিলিগুড়ি: মঙ্গলবার মাত্র তিনশো টাকা প্রতি ক্লাস ভিত্তিতে অস্থায়ী স্পেশাল লেকচারার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। একা বাঁকুড়া নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজেও একই ছবি। সেখানে তো আরও কম বেতনের কথা উল্লেখ রয়েছে। মাত্র ২৫০ টাকা প্রতি ক্লাসে পেয়ে থাকেন অস্থায়ী স্পেশাল লেকচারাররা। দীর্ঘদিন ধরে এমনই হয়ে আসছেন বলে জানালেন কলেজের এক অধ্যাপক।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যাপক বিদ্যাবতি আগরওয়াল বলেন, ” মূলত সকল কলেজেই স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন। যে কলেজগুলিতে স্থায়ী শিক্ষক নেই সেখানে জানা কথাই কয়েকদিন পর স্থায়ী শিক্ষক অথবা শিক্ষিকা নিয়োগ হবেন। তবে যতদিন না নিয়োগ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ক্লাস চালাতে হবে। সেই কারণে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তবে হ্যাঁ টাকার পরিমাণ খুবই কম। অন্তত ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া যেতেই পারে। এতে কিছু করার নেই। উত্তরবঙ্গেও বিভিন্ন কলেজে অস্থায়ী শিক্ষকরা কোথাও ২০০ টাকা কোথাও আবার ২৫০ টাকা পেয়ে থাকে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ, বেতন, পদোন্নতি, গবেষণা এবং ছুটি সংক্রান্ত গুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে খসড়া প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি )। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কলেজ এবং বিশ্ব বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষকদের প্রতি ঘণ্টায় ক্লাসের সাম্মানিক ১ হাজার ৫০০টাকা। সেখানে কীভাবে এত কম টাকা দেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী শিক্ষকদের উঠছে প্রশ্ন।
গতকাল সামান্য বেতনে উচ্চ শিক্ষিতদের অস্থায়ী স্পেশাল লেকচারার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে পড়ে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৪ মার্চ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ অস্থায়ী ভিত্তিতে স্পেশাল লেকচারার নিয়োগ করতে চায়। এই পদের জন্য কমপক্ষে শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে মাস্টার ডিগ্রি। সঙ্গে নেট কোয়ালিফায়েড অথবা পিএইচডি।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওয়াক ইন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা এই অস্থায়ী স্পেশ্যাল লেকচারাররা সপ্তাহে সর্বাধিক চারটি ক্লাস করতে পারবেন। প্রতিটি ক্লাসের জন্য স্পেশাল লেকচারারদের তিনশো টাকা দেওয়া হবে। অর্থাৎ সারা মাসে সর্বাধিক ১৬ টি ক্লাস করতে পারবেন ওই স্পেশাল লেকচারাররা। এর অর্থ এই লেকাচারাররা সর্বাধিক মাসে ৪৮০০ টাকা পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যেখানে একজন শ্রমিকের দৈনিক বেতন ৫০০ টাকা, সেখানে একজন মাস্টারডিগ্রি, পিএইচ ডি অথবা নেট কোয়ালিফায়েডকে কি ওই সামান্য টাকায় কাজ করানো যায়? প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল