গ্যাংটক: ভ্রমণ প্রিয় বাঙালির কাছে অন্যতম পছন্দের ডেস্টিনেশন সিকিম (Sikkim)। গোটা বছরই সিকিমে পর্যটকদের (Tourists in Sikkim) ভিড় লেগে থাকে, আর তার সিংহভাগই বাঙালি পর্যটক। চৈত্র-বৈশাখের গরম থেকে কিছুদিনের জন্য নিস্তার পেতে আপনিও কি সিকিমে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে সেখানকার আবহাওয়ার খবর অবশ্যই জেনে রাখা দরকার আপনার, নাহলে ঘুরতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। বিগত কিছুদিন ধরেই সিকিমে, বিশেষ করে উত্তর সিকিমে ব্যাপক তুষারপাত হচ্ছে। সাধারণভাবে মার্চ মাসে এত বেশি তুষারপাত দেখা যায় না। তুষারধসের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ফুনিতে তুষারধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে লাচুং-ইয়ামথাং রোড। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেখানে রাস্তার কাজ চলছে। আপাতত পর্যটকদের ইয়াকশি গেট পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, এর মধ্যে যদি আপনি উত্তর সিকিমে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন, তাহলে সেইভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন, নাহলে অযথা নিরাশ হবেন।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই বছরে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যে পরিমাণ তুষারপাত হয়েছে, সেই তুলনায় মার্চে তুষারপাতের পরিমাণ অনেক বেশি। কারণ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। মার্চ মাসে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব দেখা গিয়েছে, তার জেরেই এই ব্যাপক তুষারপাত হচ্ছে। যেভাবে সমতলে বৃষ্টি হচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে, ঠিক সেইভাবেই তুষারপাত হচ্ছে পাহাড়ে। শুধু সিকিমেই নয়, গোটা হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলেই এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে সান্দাকফুতেও ব্যাপক তুষারপাত দেখা গিয়েছে।
রবিবারও সকালের দিকে গ্যাংটক শহরের কাছে সোকপে গ্রামে ধস নেমেছিল। সেই ভূমিধসের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ডিকচু-রাকডং বরাবর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভূমিধসের জেরে চারটি বাড়ি সম্পূর্ণে ধুলোয় মিশে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১৮টি পরিবার। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ১৫-২০ টি পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলেই খবর। রবিবার বিকেলে গ্যাংটকের জেলাশাসক তুষার নিখারে এবং অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।