শিলিগুড়়ি: অবৈধ বালি তোলা আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুসিশের গাড়িও। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ফাঁসিদেওয়ায় পাথর গুমগুমিয়া চা বাগানে। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়েছিল পাথর হিড়হিরা গ্রামে চেঙ্গা নদীতে। সেখানে অবৈধ বালি তোলা চলছিল। তা আটকাতে গিয়ে এলাকাবাসীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকে। পুলিশের গাড়িই ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, নদীতে যখন অবৈধ উপায়ে বালি তোলার কাজ চলছিল, তখনই হানা দেয় পুলিশ। একটি ট্রাক্টরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন পুলিশ কর্মীরা। এদিকে, দূর থেকে পুলিশের গাড়ি দেখে পালানোর চেষ্টা করে ট্রাক্টরটি। সেটি পালাতে গিয়ে এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে। এরপরেই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালান। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল বাহিনী। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। গ্রামের এলাকা থমথমে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই বালাসন নদী থেকে বালি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। বালি তোলার অনুমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও হোলির আগের রাতে ট্রাক্টর নিয়ে বালি তুলতে যান তিন জন। বালি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। অভিযোগ, মৃতদের মধ্যে দু’জন নাবালক। উত্তরবঙ্গে জানুয়ারি মাস থেকেই বালি তোলার কোনও অনুমতি নেই। কিন্তু অভিযোগ, প্রতিদিনই শয়ে শয়ে ট্রাক নদী থেকে বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই বালি উত্তোলন চলছে, তা পাচারও হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনেরও একাংশের মদত রয়েছে বলে গ্রামবাসীরা সরব হন। কিন্তু এদিন যখন খবর পেয়ে বালি পাচারকারীদের ধরতে গিয়েছিল পুলিশ, সেখানে গ্রামবাসীদেরই তাড়া খেতে হল প্রশাসনকে। নদী থেকে অবৈধ বালি পাচার রোখা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে খবর।