কার্সিয়ং: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ব্রিটিশ আমলের বাংলোয়। চা বাগানের ওই বাংলোয় আগুনের জেরে বাংলোর পুরনো অংশ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইলেকট্রিক লাইনে শর্ট সার্কিটের জেরেই এই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। শর্ট থেকে আগুন কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ব্রিটিশ আমলের বাংলো দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। বাংলোর ম্যানেজার খবর দেন দমকলকে। এর পর আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। তবে ওই বাংলোয় যাওয়ার রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় দমকলের ইঞ্জিনের ঢুকতে অসুবিধা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বাংলোর ম্যানেজাররে অভিযোগ, দমকল আসতে দেরি করেছে। দার্জিলিং জেলার কার্সিয়ং সাবডিভিশনের অন্তর্গত গুমতি চা বাগানের বাংলোয় ঘটেছে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
কার্সিয়ং সাবডিভিশনের ওই চা বাগানে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের বাংলো। পুরনো সেই বাংলো শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ লাগে এই আগুন। খবর যায় দমকলে। এর পর দমকলের লোকেরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে দমকলকে আগুন নেভানোর কাজে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাংলোর অভ্যন্তরে থাকা সব জিনিস পুড়ে গিয়েছে। এর জেরে প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি বাংলোর ম্যানেজারের।
ঘটনা নিয়ে চাবাগানের বাংলোর ম্যানেজার জওহর চৌধুরি বলেছেন, “আজ গুমতি রিসোর্টে আগুন লাগে। বাংলোর ভিতরে থাকা সমস্ত জিনিস পুড়ে গিয়েছে। দমকল খবর দিলেও আসতে দেরি করেছে। দমকলের একটিই ইঞ্জিন এসেছিল। মালিক এবং প্রশাসনকে জানানো হয়েছে ঘটনার কথা। কতটা ক্ষতি হয়েছে তা আগুন নেভার পর বোঝা যাবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ৫-৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।” আগুন না নিভলেও তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে।