শিলিগুড়ি: ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলনের মধ্যেই বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের মাথায় রেখে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে থাকা রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবার নতুন রোগী কল্যান সমিতি গঠনের আগে কারা তাতে স্থান পাবেন তা নিয়ে নির্দেশিকা দিল স্বাস্থ্য ভবন। নতুন কমিটিতে থাকছেন জনপ্রতিনিধিরাও।
আগে জন প্রতিনিধিরাই ছিলেন বিভিন্ন রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান। নতুন নির্দেশিকায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। এছাড়া সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টর্স, জুনিয়ার ডক্টর্স এবং নার্সদের তরফে একজন করে প্রতিনিধি থাকছেন। দু’জন বিভাগীয় প্রধানকেও জায়গা দেওয়া হচ্ছে সমিতিতে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারকে সমিতিতে সচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। মোট আটজনের এই রোগী কল্যাণ সমিতিতে থাকছেন একজন করে জনপ্রতিনিধিও।
নতুন করে এই জনপ্রতিনিধিদের রোগী কল্যাণ সমিতির অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে সতর্ক আন্দোলনকারী চিকিৎসক পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, নির্দেশিকা দেখেছি। হাসপাতাল যেহেতু জনগণকে পরিষেবা দেয় তাই তাঁরা থাকুন। কিন্তু, যাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। জনপ্রতিনিধি যেন মেডিকেল কলেজের পরিচালনা সংক্রান্ত অন্য বিষয়ে ঢুকে না পড়েন তা সুনিশ্চিত করতে হবে। খাতায় কলমে অধ্যক্ষকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে রেখে ওই জন প্রতিনিধিরা যদি সব কিছুতে নাক গলান এবং থ্রেট কালচার ফেরানোর চেষ্টা হয় সেক্ষেত্রে আন্দোলন হবে।
অর্থোপেডিকের বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি সরকার বলেন, “রোগী কল্যাণ সমিতি আদৌ কী রোগীর উপকার করে? এই সমিতি আসলে মেঘনাদ। থ্রেট কালচারের নিয়ন্ত্রকেরা সমিতির সিদ্ধান্ত বলে চাপিয়ে দেন। এই সমিতি গঠন এবং তাতে জনপ্রতিনিধি রাখার তীব্র বিরোধীতা করছি।” অ্যাসোশিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের তরফে উৎপল বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সতর্ক নজর রাখছি। পুরানো অব্যবস্থ ফেরানোর চেষ্টা হলে আন্দোলন আরও বাড়বে।”