শিলিগুড়ি: ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে সরাসরি অভিযোগের আঙুল উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আক্রান্ত তাঁরই ভাই তথা আনিস-হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী সলমন খান। সাক্ষ্য লোপাট করতেই এই আক্রমণ করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। খুনের চেষ্টা বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সলমন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এ দিন শিলিগুড়িতে মহম্মদ সেলিম বলেন, আজ পর্যন্ত বিচার পেল না আনিস খান। সিটের নামে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। আসলে একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সেলিম। তাঁর দাবি, এই ঘটনার দায় নিতে হবে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাম নেতার দাবি, পরিকল্পনা করেই খুনের চেষ্টা করা হয়েছে সলমনকে। যেহেতু সলমন আনিস মামলার সাক্ষী তাই মূল মামলার সঙ্গে যাতে সলমনের ওপর আক্রমণের বিষয়টাকেও যুক্ত করা হয়, আইনজীবীদের তেমনই পরামর্শ দিয়েছেন সেলিম। কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা অনুব্রত সম্পর্কে বলেছেন, ‘বীরের মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’ তাই এ দিন কটাক্ষ করে সেলিম বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তো বীর বলে দিয়েছেন। সেই বীরেরাই এই কাজ করেছে।’ পরিবারের তরফে নিরাপত্তা চেয়েও যে মেলেনি সে কথাও উল্লেখ করেছেন সেলিম।
অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।’ তাঁর দাবি, তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই সব বোমা-বন্দুক বের করে সামাল দেওয়া হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলেন। মমতা পুলিশ মন্ত্রী, অথচ তাঁর হাতে না আছে প্রশাসন, না আছে দল। নিজের দলকে বাঁচাতেই আপাতত তিনি ব্যস্ত। ক্রমাগত এই ঘটনা বাড়তে থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন সলমন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা হাঁসু খাঁর বিরুদ্ধে অভিযো জানিয়েছে পরিবার। বর্তমানে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। শনিবার সকালে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।