Shanta Chhetri: ‘সুপ্রিমো’র সফরের আগেই জেলা সভানেত্রীর পদ ছাড়তে চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা শান্তার, পাহাড়ে অস্বস্তিতে ঘাসফুল

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 10, 2022 | 12:17 PM

Shanta Chhetri: আগামী ১১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর আছে। তার আগে শান্তার এই বার্তায় বেজায় ক্ষুদ্ধ শাসক শিবির।

Shanta Chhetri: সুপ্রিমোর সফরের আগেই জেলা সভানেত্রীর পদ ছাড়তে চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা শান্তার, পাহাড়ে অস্বস্তিতে ঘাসফুল
শান্তা ছেত্রী (ফাইল ছবি)

Follow Us

শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফরের আগে পাহাড়ে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর পদ ছাড়তে চেয়ে শীর্ষ নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠালেন সাংসদ শান্তা ছেত্রী। দল সূত্রে খবর, পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনে দল ভাল ফল করলেও, তার কৃতিত্ব না মেলাতেই অভিমানে পদ ছাড়তে চেয়েছেন শান্তা। সেই কারণে জিটিএ শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত পাহাড় সফরের আগে পদ ছাড়তে চাইলেন শান্তা।

প্রসঙ্গত, আগামী ১১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর আছে। তার আগে শান্তার এই বার্তায় বেজায় ক্ষুদ্ধ শাসক শিবির। এর আগেও একাধিক প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রকাশ্যেই ধমক খেয়েছিলেন শান্তা। এরপর থেকেই ব্যাকফুটে তিনি। অনীত থাপাদের সঙ্গে ঝগড়া করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হন তিনি। অনীত থাপাদের সঙ্গে শান্তা একাধিক বিষয়ে মনোমানিল্য করেছে। সূত্রের খবর, অনীত থাপা বিষয়টি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর প্রকাশ্য সভাতেই শান্তা ছেত্রীকে তিরস্কার করেছিলেন নেত্রী। একটি সিট না জিততে পারায়, তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু পাহাড়ে ‘বন্ধু’ শরিকের সঙ্গে দলের প্রতিনিধির এহেন ঝামেলা কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই পাহাড়ে কিছুটা কোণঠাসা শান্তা ছেত্রী।

সেই অনিতের আমন্ত্রণেই আগামী ১১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে আসছেন। ১২ জুলাই জিটিএ শপথ গ্রহণে হাজির থাকবেন তিনি। তার আগেই শান্তার এই বার্তায় দলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে। তবে এনিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি শান্তা।

প্রসঙ্গত, জিটিএ নির্বাচনে পাহাড়ে এত নতুন শক্তির উত্থান হয়েছে। অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক পার্টি। অনীতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে তৃণমূলেরও। জিটিএ নির্বাচনে উত্থান হয়েছে অনীতের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, কিছুটা হলেও অপ্রসাঙ্গিক বিষয় হয়েছেন বিমল গুরুং। এদিকে, অনীতদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছেন শান্তা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই নেত্রীর নজরে কিছুটা হলে ব্যাক ফুটে গিয়েছেন শান্তা ছেত্রী। অবশ্য শান্তার এই বার্তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। জেলা হিল তৃণমূলের চেয়ারম্যান এলবি রাই জানিয়েছেন, শান্তা ছেত্রী পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। দলের তরফে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

Next Article