শিলিগুড়ি: পৌরসভার চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত শিলিগুড়ি পৌরসভার এক চিকিৎসক। অভিযোগ, কার্ণিভালের রাতে ডিউটি করতে গিয়ে পুলিশের দুর্ব্যবহারের শিকার হন তিনি। এ নিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকের দাবি, রাত দশটা থেকে ডিউটি ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁকে সিকিউরিটি পাস দেওয়া হয়নি। নিরঞ্জন ঘাটে ঢোকার সময় তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। তিনি জানান, তিনি অন ডিউটি চিকিৎসক। অভিযোগ, এরপরেও তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তাঁকে অপরাধীর মতো প্রকাশ্যে মারা হয়। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। দু’ঘণ্টা পর পিআর বন্ডে ছাড়া পান তিনি।
আক্রান্ত চিকিৎসক হীরকব্রত সরকার বলেন, “হঠাৎ করে ১০ -১২ জন আমাকে মারতে শুরু করেন। আমার পিঠে খিমচে দেয়। তারপর এক জন পুলিশ আমাকে ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে সিনিয়রের কাছে নিয়ে যায়। তারপর আমাকে ক্রিমিন্যালের মতো আমার বাইকেই বসিয়ে মারধর করে। পরে আমাকে দিয়ে পি আর বন্ডে ছাড়ে।”
হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে এখনও ধর্মতলায় অনশনে সামিল আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। সেখানে এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশেরই বিরুদ্ধে। এই নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “সকালে মালদহেও এরকম দুটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধেই। এখানে পুলিশ, যার রক্ষা করার কথা, তার বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ডাক্তার, চিকিৎসক কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীরা সবচেয়ে বেশি অসুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।” যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।