Siliguri Crime: ‘পাঁচশো রাখো, দুশো দিচ্ছি পরে…’, লাল রঙা শাড়ি কিনে জীবন দিতে হল মাঝবয়সী বধূকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 15, 2022 | 5:47 AM

Siliguri Crime: ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পাপিয়া কর্মকারকে। আপাতত পলাতক তাঁর স্বামী ও দেওর।

Siliguri Crime: পাঁচশো রাখো, দুশো দিচ্ছি পরে..., লাল রঙা শাড়ি কিনে জীবন দিতে হল মাঝবয়সী বধূকে
বধূকে খুনের অভিযোগ

Follow Us

শিলিগুড়ি: শাড়ির দোকানে দুশো টাকা বাকি রাখতে চেয়েছিলেন, ব্যবসায়ী রাজি হননি। জীবন দিয়েই তার মাসুল দিতে হল গৃহবধূকে। দুশো টাকার জন্য মহিলা ব্যবসায়ীর হাতে খুন হতে হল এক মহিলাকে। অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য শিলিগুড়ির শীতলাপাড়া এলাকায়। নিহতের নাম শান্তি বর্মন (৪৫)।

শিলিগুড়ির শীতলাপাড়া এলাকায় পৌর নিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন শান্তি বর্মন।কিছুদিন আগে এলাকারই ব্যবসায়ী শ্যামল কর্মকারের কাপড়ের দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। দোকানে তাঁর প্রথমে সাতশো টাকা বাকি ছিল। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শান্তি দোকানে বলে এসেছিলেন, দ্রুত সাতশো টাকা মিটিয়ে দেবেন তিনি। সেই সাতশো টাকা আনতেই শান্তি বর্মনের বাড়িতে এসে হাজির হন কাপড়ের ব্যবসায়ী শ্যামল কর্মকার, তাঁর স্ত্রী পাপিয়া। সঙ্গে ছিলেন শ্যামলের ভাইও।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শান্তি বর্মন শ্য়ামল ও তাঁর স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, আপাতত পাঁচশো টাকা দিতে পারবেন তিনি। দুশো টাকা পড়ে দেবেন। আর তা নিয়েই শুরু হয় বিবাদ। সাতশো টাকা তাঁদের একবারেই লাগবে বলে দাবি করতে থাকেন। অর্থাৎ দুশো টাকা তাঁরা পরে নিতে রাজি ছিলেন না। প্রথমে বচসা, তারপর শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বচসার মাঝেই শান্তি বর্মনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন পাপিয়া। মাটিতে পড়ে মাথায় চোট লাগে শান্তি বর্মনের। রক্ত সেভাবে বের হয়নি। কিন্তু মাটিতে পড়ে গিয়েই ধীরে ধীরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন শান্তি বর্মন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবেশীরা। ভাঙচুর করা হয় অভিযুক্তদের বাড়ি ও দোকান।

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পাপিয়া কর্মকারকে। আপাতত পলাতক তাঁর স্বামী ও দেওর। এলাকায় প্রবল উত্তেজনা। ময়নাতদন্তের জন্য শান্তি বর্মনের দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এক প্রতিবেশী বলেন, “মানলাম ধার বাকি করেছেন। কিন্তু তিনি বারবার বলছিলেন, পাঁচশো রাখো, দুশো পরে দিয়ে দেব। দুশো টাকার জন্য কেউ এমন করতে পারে! আমরা অনেক ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলাম। আচমকা ধাক্কা মারল এমনভাবে, আর ভার রাখতে পারেননি মহিলা।”

Next Article