শিলিগুড়ি: প্রার্থী হতে না পেরে নির্দলে শাসক নেতারা। অন্যদিকে সব আসনে প্রার্থীই নেই বাম-বিজেপির। জমজমাট শিলিগুড়ির ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। এশিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে মোট আসন ৯টি। মহকুমার ৪টি পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ৬৬। ৪টি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২২। সেখানে মোট আসন সংখ্যা ৪৬২। আগামী ২৬ জুন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে।
গত বোর্ডের দখল ছিল বামেদের হাতেই। কিন্তু শিলিগুড়ি পৌর নিগমে বামেদের হারিয়ে তৃণমূলের জয়ের পর এবার গ্রামাঞ্চলেও জয় পেতে মরিয়া তৃণমূল শিবির। অন্যদিকে বাম-বিজেপি লড়াইয়ের ময়দানে থাকলেও বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিতে পারে নি দুই দলই।
বাম ও বিজেপি দু’পক্ষের দাবি, শাসক সন্ত্রাসেই এই পরিস্থিতি। তবে কিছু ক্ষেত্রে কংগ্রেস-সহ আঞ্চলিক কিছু দলের সঙ্গে মহাজোটের লক্ষেই প্রার্থী দেয়নি তারা। জেলা তৃণমূলের মুখপত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, “কোথাও সন্ত্রাস নেই। বিরোধীরা সমর্থন হারিয়েছে তাই কেউ ওদের হয়ে প্রার্থী হতে চাইছে না। এটাই বাস্তব। আর শাসক দলে প্রার্থী হতে প্রত্যাশা থাকবেই। তাই কেউ কেউ নির্দলে দাঁড়ালেও এসব নিয়ে তৃণমূলের সমস্যা নেই। জিতবে ঘাসফুলই।”
মহকুমা পরিষদের ন’টি আসনের মধ্যে ২০১৫ সালে ৬ আসনে জয়ী হয়েছিল বামেরা এবং তিনটি আসনে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মহকুমার ৪টি পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ৬৬। ৪টি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২২। সেখানে মোট আসন সংখ্যা ৪৬২। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে গ্রামাঞ্চলে কখনই ক্ষমতায় আসতে পারেনি শাসক দল। মহকুমা পরিষদে বামেরাই গতবার বোর্ড গঠন করেছিল। তবে এবার শিলিগুড়িতে পৌরনিগম জয়ের পর এবার গ্রামাঞ্চলেও জয় মিলবে বলে আশায় আছে শাসক দল। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এখানে বিরোধীদের সাংগঠনিক ভিতই নেই। কেবল শাসকদলের সমালোচনা করা ছাড়া, ওদের কাছে আর কোনও অস্ত্র নেই। তবে এখানে তৃণমূল তার নিজের অবস্থানেই থাকবে।