শিলিগুড়ি: শনিবারই মিটেছে ভোটপর্ব। কিন্তু ভোট পর্ব মিটলেও থামছে না অশান্তি। শনিবার ভোট মেটার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী পার্থ বৈদ্যকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। রাত বাড়তেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
আদি তৃণমূল কর্মী ও বিরোধীদের অভিযোগ, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ কলোনি এলাকায় দলেরই পুরনো কর্মীদের মারধর করে শাসক শিবিরের কর্মীরা। আরও অভিযোগ, নব্য তৃণমূল কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় টহল দেয়। মহিলাদের গায়েও হাত তোলে বলে অভিযোগ। এমনকী, ঘরছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে এক বামকর্মীর পরিবারকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। শহিদ কলোনির বাসিন্দাদের দাবি, “আমরা তৃণমূল করি। আমরাই আদি তৃণমূল। কিছু নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান।পরে, ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। তাঁরাই টিকিট পেয়ে আমাদের মারধর করেছে।” ওই বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, তৃণমূল নেতা জয়দীপ নন্দীর নেতৃত্বে বেশ কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায়।
অন্যদিকে গেট বাজার এলাকায় ওই ওয়ার্ডেই মারধর করা হয় এক বাম কর্মীর পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের অভিযোগ, রাতের বেলায় মদ্যপ হয়ে বাড়িতে চড়াও হয় প্রায় জনা ষাটেক তৃণমূল কর্মী সমর্থক। মোটা বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে বাড়িতে এসে হামলা এমনকী মহিলাদের উপরেও হামলার অভিযোগ ওঠে। যদিও, তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা জয়দীপ নন্দী জানিয়েছেন সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
দু-একটি ওয়ার্ড ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হয়েছিল শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচন। শিলিগুড়ির বিদায়ী মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন মোটের ওপর পরিস্থিতি সন্তোষজনক। ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেই তিনি জানান। ভোট শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতিও জানিয়েছেন শিলিগুড়িতে নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণই হয়েছে। তবে শেষবেলায় দুই শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। শরীর ও মাথায় একাধিক চোট পেয়ে তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবারের ভোটে চার পুরনিগমের জন্য ৯ হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজার ছিল বুথের দায়িত্বে। বাকি ৫০০ বাহিনী ছিল কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিং ইত্যাদির জন্য। কমিশনের তরফে জানানো হয় চার পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী ছিল, ছিল লাঠিধারীও। ১০০ শতাংশ বুথেই ছিল সিসিটিভি।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
শিলিগুড়ি: শনিবারই মিটেছে ভোটপর্ব। কিন্তু ভোট পর্ব মিটলেও থামছে না অশান্তি। শনিবার ভোট মেটার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী পার্থ বৈদ্যকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। রাত বাড়তেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
আদি তৃণমূল কর্মী ও বিরোধীদের অভিযোগ, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ কলোনি এলাকায় দলেরই পুরনো কর্মীদের মারধর করে শাসক শিবিরের কর্মীরা। আরও অভিযোগ, নব্য তৃণমূল কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় টহল দেয়। মহিলাদের গায়েও হাত তোলে বলে অভিযোগ। এমনকী, ঘরছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে এক বামকর্মীর পরিবারকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। শহিদ কলোনির বাসিন্দাদের দাবি, “আমরা তৃণমূল করি। আমরাই আদি তৃণমূল। কিছু নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান।পরে, ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। তাঁরাই টিকিট পেয়ে আমাদের মারধর করেছে।” ওই বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, তৃণমূল নেতা জয়দীপ নন্দীর নেতৃত্বে বেশ কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায়।
অন্যদিকে গেট বাজার এলাকায় ওই ওয়ার্ডেই মারধর করা হয় এক বাম কর্মীর পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের অভিযোগ, রাতের বেলায় মদ্যপ হয়ে বাড়িতে চড়াও হয় প্রায় জনা ষাটেক তৃণমূল কর্মী সমর্থক। মোটা বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে বাড়িতে এসে হামলা এমনকী মহিলাদের উপরেও হামলার অভিযোগ ওঠে। যদিও, তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা জয়দীপ নন্দী জানিয়েছেন সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
দু-একটি ওয়ার্ড ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হয়েছিল শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচন। শিলিগুড়ির বিদায়ী মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন মোটের ওপর পরিস্থিতি সন্তোষজনক। ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেই তিনি জানান। ভোট শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতিও জানিয়েছেন শিলিগুড়িতে নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণই হয়েছে। তবে শেষবেলায় দুই শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। শরীর ও মাথায় একাধিক চোট পেয়ে তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবারের ভোটে চার পুরনিগমের জন্য ৯ হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজার ছিল বুথের দায়িত্বে। বাকি ৫০০ বাহিনী ছিল কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিং ইত্যাদির জন্য। কমিশনের তরফে জানানো হয় চার পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী ছিল, ছিল লাঠিধারীও। ১০০ শতাংশ বুথেই ছিল সিসিটিভি।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা