শিলিগুড়ি: একুশের মঞ্চ থেকে একদম সরাসরি পুরসভা ও পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা আধিকারিদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী তিন মাসের মধ্যে ফল দেখে নেওয়ারও হুংকার দেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। আর তৃণমূল সেনাপতির এই ঘোষণার চাপে মেয়র থেকে ডেপুটি মেয়ররা নামলেন রাস্তায়। ঠান্ডা ঘর ছেড়ে সদলবলে নেমে জানালেন ‘পরিষেবা দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য।’
বস্তুত, পুরভোটে একাধিক জায়গায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটেও ভাল ফল করেছে। তবে পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, পুরসভা ভিত্তিক ফলাফলে একাধিক জায়গায় পিছিয়ে রয়েছে শাসকদল। এরপর একুশের মঞ্চ থেকে এই প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দেন অভিষেক। বলেন, “পুরসভা এবং পঞ্চায়েতে যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁদের কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। নিজের কথা ভাবলে চলবে না। পুরসভা নির্বাচনে আমি আমার ওয়ার্ড থেকে টিকিট পাব, জিতব। আর লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচনে দল আশানুরূপ ফল করবে না আপনার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে তা সে আপনি যতবড় নেতার ছত্রছায়ায় থাকুন।” অভিষেক এও বলেছেন, “গায়ে গতরে প্রতিটি নির্বাচনে খাটতে হবে। আগামী তিনমাসের মধ্যে এর ফল দেখবেন…।”
অভিষেকের এই বক্তব্যের পরেই দলের অন্দরে পুরসভায় নানা পদে রদ বদলের সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বস্তুত, শিলিগুড়িতে পুরভোটে তৃণমূল জিতলেও গত লোকসভা ভোটে মেয়র গৌতম দেব,ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারদের ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ৪৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৬ টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে বিজেপি। কলকাতা থেকে ফেরার পরই তাই এবার পরিষেবার মান আরও বাড়াতে চাইছেন মেয়র গৌতম দেব। আজ তিনি বলেন,”অভিষেক যথার্থই বলেছেন। গত নির্বাচনে সাফল্য আসেনি। সাফল্য আনতে হবে। সমস্ত পরিষেবাকে অগ্রাধীকারের মধ্যে রাখছি। ডেঙ্গি মোকাবিলা হোক বা পুর পরিষেবা আমরা ঠান্ডা ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে কাজ করছি। তিন মাসের মধ্যে অভিষেক তাঁর রিপোর্ট পেশ করবেন। সবাইকেই তা মানতে হবে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।”
এ দিন কার্যত মেয়র গৌতম দেব নিজ ওয়ার্ডে ডেঙ্গি মোকাবিলায় নামার পাশাপাশি জঞ্জাল সাফাই ও পানীয় জল বিভাগের মেয়র পারিষদদেরও সঙ্গে নিয়ে যান। স্কুটি চেপে, হেঁটে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জমা জল রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখেন।