শিলিগুড়ি: নবান্নের বৈঠকে শিলিগুড়ির কাজ নিয়ে বেজায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই শিলিগুড়িতেই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। তাও আবার এক পুরকর্মীর বিরুদ্ধেই। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সামান্য এক ফালি জমির মধ্যেই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। পুরনিগমের নিয়ম-বিধির যেন তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না! অভিযোগ, মাত্র ১০০ বর্গফুটের মধ্যেই বিনা অনুমতিতে গজিয়ে উঠছে দোতলা নির্মাণ। একতলার ছাদের উপর উঁচু করে পিলার গাঁথাও হয়ে গিয়েছে।
আর যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী প্রদীপ সোম। যদিও ওই পুরকর্মীর দাবি, কোনও দোতলা নির্মাণ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘দোতলার প্ল্যান আমার ছিল না। দোতলার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না আমার। যদি কোনও বেআইনি নির্মাণ থাকে, সেই অংশটুকু ভেঙে দেব।’ স্থানীয় সূত্রে খবর, নিজের জমিতেই এই বেআইনি নির্মাণ বানাচ্ছেন ওই পুরকর্মী। কিন্তু কীসের জোরে এই বেআইনি নির্মাণ করার সাহস জুটছে তাঁর? এই ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর যতন সাহা, তিনি আবার বোরো চেয়ারম্যানও বটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই অস্থায়ী পুরকর্মী স্থানীয় কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচত। সেই জোরেই কি তাহলে নিয়ম-বিধি শিকেয় তুলে বেআইনিভাবে নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রদীপ সোম?
যদিও কাউন্সিলর যতন সাহা জানাচ্ছেন, বিষয়টি জানার পরই তিনি পদক্ষেপ করেছেন। কাউন্সিলর জানালেন, বাস্তুকারদের থেকে ফোনে তিনি জানতে পারেন বিষয়টি। জানার পরই বেআইনি নির্মাণের কাজ বন্ধ করানো হয়েছে। একতলার ছাদের উপর যে দুটি উঁচু করে পিলার বানানো হয়েছে, সেটাও ভাঙার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কাউন্সিলর যতন সাহা।
এদিকে এই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ঘিরে সুর চড়াতে শুরু করেছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘যদি ওই ব্যক্তি কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ হন, তাহলে তিনি জানেন না, এটা হতে পারে না। তাহলে ওনার মদতেই হচ্ছে। এই সব নিয়ে আমি কলকাতায় গিয়ে রাস্তায় বসব।’
শি্লিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব অবশ্য জানিয়েছেন, ‘নতুন করে কোনও বেআইনি নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। পুরনো যেগুলি এভাবে দৃষ্টিকটূভাবে চোখের সামনে রয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধেও ধাপে ধাপে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’