Siliguri: SIR আবহে এবার হিড়িক জন্মের ডিজিটাল শংসাপত্র জোগাড়ে, হিমশিম খাচ্ছেন পৌরকর্মীরা
Siliguri: SIR নিয়ে জোর চর্চার মাঝেই এবার শিলিগুড়িতে বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ সেই পুরানো শংসাপত্র হাতে করে নিয়ে পৌরনিগমে আসছেন ডিজিটাল শংসাপত্র সংগ্রহ করতে। প্রতিদিন শয়ে শয়ে আবেদনের জেরে পৌরনিগমের জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত দফতরে এখন আবেদনের পাহাড়।

শিলিগুড়ি: SIR আবহের মধ্যেই এবার জন্মের ডিজিট্যাল শংসাপত্র পেতে তৎপরতা। নিজেদের নথিপত্র গুছিয়ে নিতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। জন্মের ডিজিটাল শংসাপত্র পেতে পৌরনিগমে আবেদনের হিড়িক শিলিগুড়িতে। বিপুল আবেদনের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন পুরকর্মীরা।
বছর খানেক আগেই অনলাইনে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া শুরু হয়েছিল। তার আগে হাতেকলমে হত এই কাজ। পুরানো পদ্ধতিতেই শংসাপত্র তৈরি করে দেওয়া হত পুরনিগমের তরফে।
তবে SIR নিয়ে জোর চর্চার মাঝেই এবার শিলিগুড়িতে বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ সেই পুরানো শংসাপত্র হাতে করে নিয়ে পৌরনিগমে আসছেন ডিজিটাল শংসাপত্র সংগ্রহ করতে। প্রতিদিন শয়ে শয়ে আবেদনের জেরে পৌরনিগমের জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত দফতরে এখন আবেদনের পাহাড়।
বাসিন্দাদের তরফে জমা দেওয়া শংসাপত্র এবং নিজেদের রেকর্ড মিলিয়ে ডিজিট্যাল জন্ম সংক্রান্ত সার্টিফিকেট দিতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে কর্মীদের।
বাসিন্দাদের অবশ্য কেউ বলছেন, শংসাপত্র আপডেট করাচ্ছি। কেউ বলছেন, অন্য কাজে প্রয়োজন, তাই ডিজিটাল জন্ম সংক্রান্ত শংসাপত্র নিচ্ছেন তাঁরা। পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের দাবি, “বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে। তাই এই আবেদনের হিড়িক। কিন্তু রাজ্যের সরকার ও দল হিসেবে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে।” তবে তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কারোর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন বলেন, “রাজ্যের সরকার মুখে যাই বলুক, তারাও জানে SIR হবেই। তাই এই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁরাও ডিজিট্যাল শংসাপত্র দিচ্ছে নাগরিকদের। কমিশন এই কাজ শুরু করলে বাসিন্দারা নিজেদের নথি জমা দেবেন। ভারতীয় নাগরিকদের নাম কাটা যাবে না। তৃণমূল যাই বলুক, বাসিন্দারাও বুঝেছেন SIR হবেই।”
উল্লেখ্য, এর আগে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য প্রয়োজন পড়ত জন্ম তারিখ ও ঠিকানা। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেবল তারিখই নয়, কোথায় ভোটারের জন্ম হয়েছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর আগে বীরভূমের রামপুরহাট ও নলহাটি পুরসভায় জন্ম সার্টিফিকেট নিতে ও সংশোধন করানোর হিড়িক লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গেও ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনে নামতে পারে নির্বাচন কমিশন।

