দার্জিলিং: আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনায় বিগড়ে গিয়েছে পাহাড়ের হালচালও। গত দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে পাহাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। আর তার প্রভাব পড়েছে সান্দাকফুতেও। চলছে অকাল তুষারপাত। পুরু বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে সান্দাকফু। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে কোথাও কোথাও প্রায় সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত বরফের আস্তারণে ঢেকে গিয়েছে সান্দাকফুর রাস্তা। পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ পয়েন্ট হল সান্দাকফু। সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যানের পাশ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সান্দাকফুর পথে গোটা রাস্তা জুড়ে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ হোটা স্লিপিং বুদ্ধা। সেই অভিরাম নৈস্বর্গিক শোভার টানে প্রচুর পর্যটক ও ট্রেকার সান্দাকফু-ফালুটে যান। কিন্তু আচমকা এই তুষারপাতের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সান্দাকফু-ফালুটের রাস্তা।
সান্দাকফুর দিকে যাওয়া অনেক পর্যটক এই বিরূপ আবহাওয়া ও তুষারপাতের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন। সিঙ্গলিলা ল্যান্ডরোভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানদের যৌথ উদ্য়োগে বৃহস্পতিবার ৪০ জনেরও বেশি পর্যটককে সিঙ্গলিলা রেঞ্জের উপরের দিক থেকে মানেভঞ্জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। সামনেই দোল ও হোলির ছুটি রয়েছে। এই সময়ে ট্রেকার ও পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়ার সম্ভাবনা ছিল সান্দাকফু, ফালুটের পথে। কিন্তু এমন প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পর্যটকের সংখ্যা তুলনায় অনেকটা কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাধারণত মার্চ মাসে তুষারপাত হয় না সান্দাকফু-ফালুটের পথে। ফলে যাঁরা এই সময়ে সিঙ্গলিলা রেঞ্জের উপরের দিকে গিয়েছিলেন, তাঁরা সেরকম প্রস্তুতি নিয়ে যাননি অনেকেই। এমন অবস্থায় আচমকা তুষারপাত শুরু হওয়ার বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন পর্যটকরা। যদিও ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকায় পাহারায় থাকা সশস্ত্র সীমা বল ও ল্যান্ড রোভার মালিক সংগঠনের উদ্যোগে অনেক পর্যটককে আজ মানেভঞ্জনে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। গত দু’দিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টির যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জেরেই এই ভরা মার্চেও তুষারপাত চলছে সান্দাকফুতে।