শিলিগুড়ি: মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার চাকরি ববিতা সরকারের হাত ঘুরে এসেছিল শিলিগুড়ির অনামিকা রায়ের হাতে। হাইকোর্টের রায়েই তাঁর চাকরি হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার হাইকোর্টেই এসএসসি মামলার রায়ে চাকরি গিয়েছিল তাঁর। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টে এদিনের শুনানির পর সাময়িক স্বস্তিতে শিলিগুড়ির অনামিকা। প্রায় ২৬ হাজার নিয়োগ বাতিলের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। সঙ্গে এও বলা হয়েছে, এখনই কাউকে বেতন ফেরত দিতে হবে না। তবে প্রত্যেককে মুচলেকা দিতে হবে। নিয়োগ বেআইনি প্রমাণিত হলে টাকা ফেরত দিতে হবে।
আজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে সেকথাও স্বীকার করছেন তিনি। গতকাল থেকে মোবাইল আর টেলিভিশন স্ক্রিনেই চোখ রেখে গিয়েছেন অনামিকা। আজ সুপ্রিম কোর্টে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের খবর পেয়ে কিছুটা যেন বুকে বল পেলেন তিনি। বললেন, ‘স্থগিতাদেশ আসবে না, এটাই একপ্রকার ধরে নিয়েছিলাম।’ অনামিকার কথায়, ‘বার বার যোগ্যতার পরিচয় দিতে হচ্ছে, এটা শিক্ষক সমাজের কাছে লজ্জার। এখন মনে হচ্ছে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত না থাকাই ভাল। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে খুব খারাপ একটা বার্তা যাচ্ছে।’
শীর্ষ আদালতে এদিনের শুনানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব। আমাদের নিয়োগকর্তা স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের কাছে আমাদের প্রত্যেকটা তথ্য আছে। নাহলে যারা আরটিআই করছে, তাদের উত্তর দিচ্ছে কীভাবে!’ একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘অযোগ্যদের তালিকা ইতিমধ্য়েই রয়েছে। আমরা চাই কমিশন যাতে যোগ্যদের তালিকাটাও তাড়াতাড়ি দিয়ে দেয়। তাহলে চাকরি নিয়ে বার বার এই সমস্যার জায়গাটা বন্ধ হবে।’