শিলিগুড়ি: ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মুখে উত্তরবঙ্গ। আগামী কয়েকদিনের জন্য প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। তিস্তার জনস্রোতে বিপন্ন জাতীয় সড়ক। প্রতিদিন ধসে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সড়কের নানা অংশ। একদিকে নানা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জেরে কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করা, অন্যদিকে জাতীয় সড়কের অন্য পাশে টানেল পথে রেল প্রকল্প। এই দুইয়ের মাঝেই রোজ চাপে পড়ছে বাঙালীর প্রিয় সিকিম।
দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম ও কালিম্পং। একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। আগামী কয়েক দিন নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টির পুর্বাভাস রয়েছে উত্তরে। এই পরিস্থিতিতে ফের ফুঁসছে তিস্তা। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম ও কালিম্পংগামী NH10 বন্ধ রয়েছে ধসের জেরে। দার্জিলিংয়ে থেকে পেশক রোড হয়ে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তায় বন্ধ রয়েছে তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধির জেরে। বিকল্প হিসেবে লাভা হয়ে ঘুরপথে চলছে যানবাহন।
এদিকে আবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে ধুপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে। বিপর্যস্ত জনজীবন। বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ায় উপরে পড়ল গাছ। ব্যাপক চাঞ্চল্য ধূপগুড়ি স্টেশন মোড় এলাকায়। একটানা বৃষ্টির জলে জলে জলময় ধুপগুড়ি পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড। রাস্তাতেই ব্যাপাক জ্যাম। ধুপগুড়ি সুপার মার্কেট এবং ধুপগুড়ি কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকার বাজারের অবস্থা মারাত্মক খারাপ। এদিকে একটানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে সমস্ত নদীতে। তিস্তায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ফুঁসছে রবিবার সকালেই গজল ডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে। প্রায় ২৬০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। সে কারণেই চলতি মরশুমে এই প্রথম তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করলো সেচ দপ্তর। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার।