শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বদল করতে পারে রাজ্য সরকার। তবে দ্রুত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা সম্ভবপর নয়। সেক্ষেত্রে অচলাবস্থা এড়াতে অস্থায়ীভাবে অ্যাড হক কমিটির ভিত্তিতে কাউকে নিয়োগ করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপকরা। শিক্ষা দফতর সূত্রে এমনটাই খবর।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একের পর এক হেভিওয়েট গ্রেফতার হয়েছেন। দুর্নীতির আঁচ পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। যখন বাগ কমিটির রিপোর্টে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। সেই রিপোর্টকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র শিলিগুড়িতে তাঁকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে একাধিক আন্দোলনও করে বিরোধীরা। কিন্তু পদ খোয়াতে হয়নি সুবীরেশকে। তবে এবার আর নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না সুবীরেশ। পার্থ-কল্যাণময়-শান্তিপ্রসাদের পর এবার সিবিআই জালে এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য। গ্রেফতার হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এর পরেই অচলাবস্থা শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ব্যক্তি উপাচার্য। তিনি পদে না থাকলে কে দায়িত্ব নেবেন? আধিকারিকরা প্রকাশ্যে কিছু বলতে না চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গিয়েছে কেউ গ্রেফতার হলে বা জেলে গেলে সেক্ষেত্রে তাকে সরিয়ে দেওয়াই নিয়ম।
উপাচার্য নির্বাচন করতে হলে সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটি যোগ্যদের তালিকা তৈরি করলে তা রাজ্যপালের কাছে পাঠাতে হবে। ফলে তা সময় সাপেক্ষ বিষয়। ফলে আপাতত অ্যাড হক ভিত্তিতে দ্রুত কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।