শিলিগুড়ি: রাত পোহালেই চালু হবে বন্দে ভারত (Vande Bharat)। তার আগে যাত্রীদের একাংশের উচ্ছাস তুঙ্গে। এই ট্রেনের প্রথম যাত্রার অংশ হতে অনেকেই টিকিটের খোঁজে ছুটছেন। কেউ বা রেলকর্তাদের অনুরোধ করছেন এই যাত্রার সাক্ষী থাকতে। যাত্রীদের দাবি, নিঃসন্দেহে এই ধরনের সেমি হাইস্পিড ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে। বিপুল টাকা খরচ করে যা যাত্রীরা বিমানে যাতায়াত করেন তাদের একটা অংশ এবার এই ট্রেনযাত্রায় আগ্রহী হবেন। খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
এই বিষয়ে ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, “নতুন ট্রেন মানেই পর্যটনের উন্নতি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হলেই পর্যটনের উন্নতি হয়। এটা সত্যিই ভাল উদ্যোগ কেন্দ্র সরকারের। এখানে শতাব্দী চলছিলই। তার থেকেও এটা হাইস্পিড ট্রেন। তাই যোগাযোগের একটা নতুন অধ্যায় খুলে দেবে।”
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ট্রেন ঘিরে রাজনীতিও চলছে। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, এই ট্রেন গ্রামবাংলার মানুষের উপকারে আসবে না। শহুরে কিছু মানুষ উপকৃত হবেন। বিজেপি এই ট্রেন রাজনীতি করে যে হাইপ তুলতে চাইছেন তাতে লাভ হবে না। তার আরও বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীকে কেন এই ট্রেন সুচনায় আসতে হচ্ছে? আসলে প্রচারের রাজনীতি করছে বিজেপি।
তৃণমুল নেতা ও মেয়র গৌতম দেব বলেন, “ট্রেন চালু হচ্ছে ভাল কথা। কিন্তু বিজেপির মাইলেজ পাওয়ার প্রশ্ন নেই। ট্রেন সামনে রেখে লাভ হবে না এটা আগাম বলে দিচ্ছি। তাছাড়া এ রাজ্যে এই ট্রেনের গতিও কম। শতাব্দীর মতোই আরও একটি ট্রেন। এ নিয়ে হইচই এর কিছু নেই। বংলার রেলের বহু বকেয়া প্রকল্প আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালে তা ঘোষণা করেছিলেন। সেগুলির বাস্তবায়ন কোথায়?
যদিও বিজেপি নেতা নান্টু পাল বলেন, “বিরোধীদের কাজই ভাল কাজকে খাটো করে দেখানো। খুব সাড়া পাচ্ছি। আগামীকাল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে শহরের বিশিষ্ট লোকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”