কলকাতা: প্রবল বৃষ্টি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় (North Bengal Rain Forecast)। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, হাসিমারা, বানারহাট, ময়নাগুড়ি, কোচবিহারে বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে। সিকিম ও ভূটানে ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে তিস্তা ও জলঢাকা নদীতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। জল বেড়ে যাওয়ায় আজ সকালে তিস্তা ব্যারাজ থেকে প্রায় দেড় হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তিস্তা ও জলঢাকায় হলুদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা।
রাত থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের মালবাজারে। তার জেরে গয়েরকাটা তেলিপাড়া এলাকায় হাতিনালার জল ঢুকে জলমগ্ন হলো বেশ কয়েকটি বাড়ি। তেলিপাড়া কাশিয়া ঝোরা এলাকায় জল উপচে ঢুকে পড়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িতে। জলমগ্ন রাস্তাও। গতকাল ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে একটানা বৃষ্টির জেরে জল জমে যায় বেশ কয়েকটি চা বাগানে। রাজ্য সড়ক এবং ইন্দো ভুটান সড়কের উপর দিয়ে বইতে থাকে জলের স্রোত। বিকেলের পর বৃষ্টি সামান্য কমলেও ভোররাত থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
টানা ও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে শিলিগুড়িতেও। গজলডোবার কাছে তিস্তার জল একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ফুঁসছে মহানন্দা নদীও। দুদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন শিলিগুড়ি পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। শক্তিগড়, হায়দারপাড়া, হাসপাতাল মোড়-সহ আরও কয়েকটি এলাকায় জল জমেছে। সেচ দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ে ছোট ছোট ধস নামছে বলে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান। রাস্তা থেকে ধস সরানোর কাজও চলছে।
আরও পড়ুন: নারদ মামলা: গৃহীত হল মুখ্যমন্ত্রী-আইনমন্ত্রীর হলফনামা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে মমতাকেও
রাজস্থান থেকে পশ্চিম অসম পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই অক্ষরেখা বিহার ও উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গেছে। এর প্রভাবে জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গে বৃষ্টির পরিস্থিতি। শনিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গে। পাহাড়ি এলাকায় ধস নামবে। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।