বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে রাস্তার উপর তৈরি হচ্ছে পাকা তোরণ। আর তার জন্য রাস্তা কাটা রয়েছে বেশ কয়েকদিন। এই অবস্থায় এক ঘুরপথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হল প্রসূতির। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ দানা বেঁধেছে বাঁকুড়ার জয়পুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের ডান্ডে গ্রামে নিজের বাপের বাড়িতেই ছিলেন তাপসী মণ্ডল। সেখানেই গতকাল রাত থেকেই শারীরিক সমস্যা শুরু হয় তাপসী দেবীর। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরিবারের লোকজন তাঁকে ওষুধও দেন। কিন্তু তারপরও সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় এদিন ভোরে ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকজন।
সূত্রের খবর, এদিন সকালে প্রসূতিকে গাড়িতে চাপিয়ে প্রথমে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু, রাস্তায় সমস্যা ব্যাপক আকার নিলে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে পৌঁছানোর কিছুটা আগেই নির্মীয়মাণ তোরণ তৈরির জন্য রাস্তা কাটা থাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে হয় রোগী ও রোগীর পরিজনদের। তাতে আরও বাড়ে সমস্যা।
রোগীর পরিজনদের দাবি, এই তিন কিলোমিটার ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে তাঁদের প্রায় ৪০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। আর তার জেরেই হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই প্রসূতির মৃত্যু হয়। মৃতার পরিবারের দাবি, ঘুরপথে হাসপাতালে পৌঁছাতে না হলে আরও আগে প্রসূতিকে অক্সিজেন দেওয়া যেত। আর তেমনটা হলে প্রসূতির মৃত্যু হয়তো ঠেকানো যেত। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় তোরণ তৈরির জন্য কীভাবে দিনের পর দিন রাস্তা কাটা থাকতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার পরিবার।