কলকাতা: এবার নতুন ভূমিকায় দেবাংশু। তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার রাজ্য ইন-চার্জ হলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে যুব নেতা দেবাংশুকে দলের আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হল। যুব তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পরদিনই এই নতুন দায়িত্ব পেলেন ‘খেলা হবে’-র দেবাংশু।
এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বে ছিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুব তৃণমূল কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বুধবারই তিনি যুব তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দলের নতুন দায়িত্ব পেলেন দেবাংশু।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বর্তমানে দলের প্রচার থেকে ভোট প্রচারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া। রাজ্যের শাসকদলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেল যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই দুটো সেলকে শক্তিশালী করতে তৎপর রাজ্যের শাসকদল। সেজন্যই দলের আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দায়িত্বে দেবাংশুকে নিয়ে এলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, বুধবারই যুব তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করলেন বলে একটি পোস্ট করেছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়? তাহলে কী দল ছেড়ে দিলেন একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের অন্যতম সারথি দেবাংশু! এমনই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেবাংশুর অনুরাগী, তৃণমূল সমর্থকেরা যেমন এরকম পোস্টে হতবাক হয়ে যান, তেমনই বিরোধী দল, বিজেপি এমনকি সিপিএম নেতারাও এই ঘটনায় কটাক্ষ করতে শুরু করেন। দেবাংশু কি দল ছেড়ে দিলেন? কেন ছাড়লেন? – এমনই হাজারো প্রশ্ন ওঠে। সকলের প্রশ্নের জবাব দিতে বৃহস্পতিবার দুপুরেই ফেসবুক লাইভ করে নিজের অবস্থান জানান
এদিন দেবাংশু ফেসবুক লাইভে স্পষ্ট করে দেন, তিনি কেবল দলের শাখা যুব তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছেন, দল ছাড়েননি। দল তাঁকে নতুন যে দায়িত্ব দেবে, তিনি সেটাই পালন করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছে ‘ভগবান-সম’ বলেও উল্লেখ করেন দেবাংশু। তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম আবেগ, দ্বিতীয় জনগণ। জনগণের ভালবাসার সঙ্গে বেইমানি করব না। দেবাংশু পদ পাওয়া- না পাওয়ার উপরে, এত ছোট মানসিকতা আমার নয়। লোকসভার সময় যখন বড় নেতারা ছেড়ে গিয়েছেন, তখন আমরা ফাইট করেছি। দলের প্রত্যেক নেতা আমাকে ভালবাসেন।”