ডায়মন্ড হারবার: বাড়ির সামনেই বসত মদ-গাঁজার ঠেক। চলত গালিগালাজ, অশ্লীল কাজকর্ম। তারপরও মুখ বন্ধ করে ছিলেন দম্পতি। অভিযোগ, বাড়ির মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় ঢুকে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন প্রতিবেশী যুবক।
ঘরে ছিলেন স্বামীও। বাধা দিলে কামড়ে তাঁর কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এতটা জোরেই কামড়ায় ওই দুষ্কৃতী, যে কান রীতিমতো শরীর থেকে আলাদা হয়ে পড়ে যায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পাতড়ার পার্বতীপুর গ্রামে। আক্রান্ত দম্পতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দম্পতির অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রথমে স্ত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এলাকারই তিন যুবক। গায়ের গয়না লুঠপাট করেন। শ্লীলতাহানির হাত থেকে স্ত্রীকে বাঁচাতে যান তাঁর স্বামী। অভিযোগ, সে সময় পিছন থেকে এক দুষ্কৃতী তাঁকে জাপটে ধরেন। ওই ব্যক্তি তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্ত তাঁর কান সজোরে কামড়ে ধরেন। টানাটানিতে কানের লতি অনেকটাই ছিঁড়ে যায়।
স্ত্রীর চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। ঘটনার পর স্বামীকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। রবিবার বেলায় ডায়মন্ড হারবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত দম্পতি। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ওই এলাকার বাসিন্দা মদন মিদ্যা, প্রতীক হালদার, পাপাই হালদাররা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা এলাকায় তোলাবাজি করেন। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখান বলেও অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, শনিবার এলাকাতেই একটি বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন দম্পতি। দম্পতি ওই অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফিরতেই তিন দুষ্কৃতী চড়াও হন। ঘরের মধ্যে ঢুকে লুঠপাট চালান বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত দম্পতি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।