ধূপগুড়ি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Corona Second Wave) ত্রস্ত সারা বাংলা। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়লেও ধূপগুড়িতে নেই একটিও সেফ হোম (Safe Home)। তাই করোনা রোগী ও তাঁদের পরিবার পড়েছেন চরম সমস্যায়। এই অবস্থায় দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করল বামেরা। পার্টি অফিসের উপর তলাকে সেফ হোম করে ফেললেন ডিওয়াইএফআই (DYFI) কর্মীরা। সেই সেফ হোমে আশ্রয় নেওয়া এক কোভিড আক্রান্তকে খাবার-দাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে ওষুধের ব্যবস্থা, সব কিছুতেই দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস।
রাজ্যে হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে যখন স্বাস্থ্য দফতর আশঙ্কা প্রকাশ করছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। তাঁদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখার প্রয়োজন, তখন আলাদা চিত্র ধূপগুড়ি এলাকায়। এখানে নেই একটাও সেফ হোম! তাই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের করোনা আক্রান্তরা পড়েছেন প্রচণ্ড সমস্যায়। বহু বাড়িতে করোনা আক্রান্ত সদস্যকে নিয়ে এক জায়গায় থাকতে হচ্ছে পরিবারকে। এই অবস্থায় সিপিএম পার্টি অফিসের উপর তলায় এক কোভিড আক্রান্তের থাকার বন্দোবস্ত করলেন বাম যুব কর্মীরা।
স্থানীয় বাম নেতৃত্বের কথায়, আগামিকাল ভোট গণনা। আর তার আগেই করোনা পজেটিভ হয়েছেন দলের এক কাউন্টিং এজেন্ট। তিনি এখন চরম সমস্যায়। কারণ, বাড়িতে পৃথকভাবে থাকার জায়গা নেই যে! বাড়িতে রয়েছেন বয়স্ক বাবা-মা। এদিকে এলাকায় কোনও সেফ হোম-ও নেই। ওই কাউন্টিং এজেন্টের মতো অনেক এলাকাবাসী তো একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। এটা অনুধাবন করেই পার্টি অফিসের উপর তলাকে সেফ হোম করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
রাজ্যে করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বামেরা। অভুক্ত মানুষদের জন্য শ্রমজীবী ক্যান্টিন খোলা থেকে সস্তায় বাজারের ব্যবস্থা— সবেতেই তাঁরা এগিয়ে এসেছিলেন। চিকিৎসার ব্যাপারেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ কর্মী, তীব্র উত্তেজনা ভাটপাড়ায়
এ বার করোনার রূপ আরও ভয়ঙ্কর। প্রতি দিনই সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। এই অবস্থায় মানুষকে ভরসা জোগাতে পথে নেমে পড়েছে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’। এসবের মধ্যেই দলীয় কার্যালয়কে সেফ হোম করে আরও এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করল বামেরা। অতিমারি (Pandemic) পরিস্থিতিতে এমন নজিরবিহীন উদ্যোগে ডিওয়াইএফআই কর্মীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী।