Piyali in Everest: এখনও বাকি ১২ লক্ষ টাকা, নইলে মিলবে না এভারেস্ট জয়ের সার্টিফিকেট! চিন্তায় পিয়ালির পরিবার

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

May 23, 2022 | 8:55 PM

Piyali in Everest: দ্বিতীয়বার এভারেস্ট অভিযান শুরুর সময়ে নিজের অর্থ সঙ্কটের কথা জানিয়েছিলেন পিয়ালি। অভিযোগ উঠেছিল, তারপরেও মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্য।

Piyali in Everest: এখনও বাকি ১২ লক্ষ টাকা, নইলে মিলবে না এভারেস্ট জয়ের সার্টিফিকেট! চিন্তায় পিয়ালির পরিবার
ছবি - চিন্তায় পিয়ালির পরিবার

Follow Us

চন্দননগর: পিঠে লক্ষাধিক টাকার ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়েই এভারেস্ট(Everest) জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল চন্দননগরের পিয়ালি(Piyali Basak of Chandannagar)। কিন্তু, সেই স্বপ্নকেই বাস্তবের রূপ দিয়ে বাংলার এই ধন্যি মেয়ে। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকতার কাজ করলেও, এভারেস্ট অভিযানের স্বপ্ন মনের চেপে বসেছিল সেই ছোটবেলা থেকেও। তবে লক্ষ্যপূরণ হলেও রবিবার শোনা গিয়েছিল পিয়ালির কাঁধে রয়েছে প্রায় চার লক্ষের বেশি ঋণের বোঝা। যদিও রবিবার পিয়ালির মায়ের দাবি, চার নয়, এখনও পিয়ালিকে মেটাতে হবে প্রায় এগারো থেকে বারো লক্ষের ঋণ। আর এতেই উদ্বেগ বেড়েছে পরিবারের অন্দরে। 

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার এভারেস্ট অভিযান শুরুর সময়ে নিজের অর্থ সঙ্কটের কথা জানিয়েছিলেন পিয়ালি। ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে অভিযান শুরু হলেও বাকি টাকার জন্য ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়েছিল। যে প্রসঙ্গে পিয়ালির মা স্বপ্না বসাক সোমবার টিভি-৯ বাংলাকে বলেন, “প্রায় বারো লক্ষ টাকা এখনও বাকি। এখনও শেরপার বোনাস বাকি। এমনকী কাঠমান্ডুতে থাকতে থাকতেই ওকে এই টাকাটা দিয়ে দিতে হবে। এরকমই কথা হয়েছিল এজেন্সির সঙ্গে। টাকা না দিলে ও সার্টিফিকেট পাবে না।” এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন পিয়ালির মা। 

প্রসঙ্গত, পিয়ালি দেশে ফিরলেই তাঁর সঙ্গে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর দেখা করানোর তোড়জোড় চালাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। মাঠে নেমেছেন হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রবিবারই পিয়ালির বাড়ি গিয়েছিলেন হুগলি বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার। পিয়ালির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তাদের শুভেচ্ছা বার্তাও দেন। একইসঙ্গে আর্থিক সাহায্যের জন্য খোদ সংসদ ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে চিঠি দিয়েছেন সে কথাও জানিয়ে এসেছেন। এদিকে, সমগ্র অভিযানের জন্য পিয়ালির খরচ হচ্ছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা। যদিও এর মধ্যে সিংহভাগ টাকাই উঠে গিয়েছে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে।

Next Article