বিষ্ণুপুর: ক্লাস হয়েছে অনলাইনে, তাই অফলাইনে নয় পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনেই। এমই দাবি বাঁকুড়ার গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। প্রসঙ্গত এর আগে একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিল বিষ্ণুপুরের কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও। এদিন নিজেদের দাবি জানিয়ে ইন্টারন্যাল আসেসমেন্টের অফলাইন পরীক্ষা বয়কট করল তারা। এমনকি পরীক্ষা বয়কট করে কলেজের গেটে বিক্ষোভও দেখায় তারা। প্রসঙ্গত করোনার প্রভাবে গত দু’ বছর ধরে রাজ্যের অন্যান্য স্কুল কলেজগুলির পাশাপাশি বন্ধ ছিল পলিটেকনিক কলেজগুলিও। গত দু বছর ধরে কলেজ বন্ধ থাকলেও ক্লাস হয়েছে অনলাইনেই। কিন্তু ইন্টারনেট সমস্যার কারণে বহু পড়ুয়াই ক্লাস করতে পারেনি। এমনকি ছাত্র ছাত্রীদের দাবি অনলাইনে ক্লাস হলেও অনেক বিষয়েরই সিলেবাস শেষ হয়নি তাঁদের। এর মধ্যেই গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের নির্দেশে অন্যান্য স্কুল কলেজগুলির পাশাপাশি খুলে যায় পলিটেকনিক কলেজগুলিও।
এদিন বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গেই কাউন্সিলের নির্দেশে পঞ্চম সেমিস্টারের ইন্টারন্যাল আসেসমেন্টের পরীক্ষার সূচী ঘোষণা করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের আরও দাবি, এত দ্রুত পরীক্ষা ঘোষণায় হওয়ায় কোনো প্রস্তুতির সুযোগই পায় তারা, বহু ছাত্রছাত্রী তো অনলাইন ক্লাসই করতে পারেনি। পড়ুয়াদের দাবি যেহেতু দুবছর ধরে অনলাইন ক্লাস চলছে তাই পরীক্ষাও নিতে হবে অনলাইনে। অফলাইন পরীক্ষা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে পড়ুয়ারা। তবে বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি মুখ খুলতে চায়নি পড়ুয়ারা।
এই ব্যাপারে বিক্ষোভকারী এক ছাত্রী সৌমিতা লোহার বলে, ‘আমাদের দাবি পরীক্ষা যেনো অনলাইনে হয়। কারণ আমাদের ৮০ শতাংশ সিলেবাস শেষ হয়েছে অনলাইনে, ফার্স্ট ইন্টারনালের আগে আমাদের বলা হয়েছিল অনলাইনে পরীক্ষা হবে। কিন্তু হঠাৎ করে পরীক্ষার চার সপ্তাহ আগে আমাদের বলা হচ্ছে পরীক্ষা হবে অফলাইনে। আমাদের অর্ধেক সিলেবাস শেষ হয়নি,ক্লাস হয়নি এটা কীভাবে সম্ভব, কীভাবে আমরা পরীক্ষা দেব। আমরা পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। সমস্ত ক্লাস যখন অনলাইনে হয়েছে তখন পরীক্ষাও অনলাইনেই নিতে হবে। তা ছাড়া আমাদের একটাও প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসও হয়নি।’ অন্যদিকে আরেক ছাত্র অরিন্দম দের বক্তব্য, ‘ আমাদের আন্দোলন অনলাইন পরীক্ষার জন্য। কলেজ খোলা মাত্র হঠকারীতায় আমাদের পরীক্ষার নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হল। আমাদের অর্ধেক ক্লাসও হয়নি। ফলে আমাদের পক্ষে কীভাবে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব। আমরা কলেজের বিরুদ্ধে নই, আমরা শুধু কাউন্সিলের কাছে জবাব চাই।’
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বিষ্ণুপুর: ক্লাস হয়েছে অনলাইনে, তাই অফলাইনে নয় পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনেই। এমই দাবি বাঁকুড়ার গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। প্রসঙ্গত এর আগে একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিল বিষ্ণুপুরের কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও। এদিন নিজেদের দাবি জানিয়ে ইন্টারন্যাল আসেসমেন্টের অফলাইন পরীক্ষা বয়কট করল তারা। এমনকি পরীক্ষা বয়কট করে কলেজের গেটে বিক্ষোভও দেখায় তারা। প্রসঙ্গত করোনার প্রভাবে গত দু’ বছর ধরে রাজ্যের অন্যান্য স্কুল কলেজগুলির পাশাপাশি বন্ধ ছিল পলিটেকনিক কলেজগুলিও। গত দু বছর ধরে কলেজ বন্ধ থাকলেও ক্লাস হয়েছে অনলাইনেই। কিন্তু ইন্টারনেট সমস্যার কারণে বহু পড়ুয়াই ক্লাস করতে পারেনি। এমনকি ছাত্র ছাত্রীদের দাবি অনলাইনে ক্লাস হলেও অনেক বিষয়েরই সিলেবাস শেষ হয়নি তাঁদের। এর মধ্যেই গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের নির্দেশে অন্যান্য স্কুল কলেজগুলির পাশাপাশি খুলে যায় পলিটেকনিক কলেজগুলিও।
এদিন বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গেই কাউন্সিলের নির্দেশে পঞ্চম সেমিস্টারের ইন্টারন্যাল আসেসমেন্টের পরীক্ষার সূচী ঘোষণা করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের আরও দাবি, এত দ্রুত পরীক্ষা ঘোষণায় হওয়ায় কোনো প্রস্তুতির সুযোগই পায় তারা, বহু ছাত্রছাত্রী তো অনলাইন ক্লাসই করতে পারেনি। পড়ুয়াদের দাবি যেহেতু দুবছর ধরে অনলাইন ক্লাস চলছে তাই পরীক্ষাও নিতে হবে অনলাইনে। অফলাইন পরীক্ষা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে পড়ুয়ারা। তবে বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি মুখ খুলতে চায়নি পড়ুয়ারা।
এই ব্যাপারে বিক্ষোভকারী এক ছাত্রী সৌমিতা লোহার বলে, ‘আমাদের দাবি পরীক্ষা যেনো অনলাইনে হয়। কারণ আমাদের ৮০ শতাংশ সিলেবাস শেষ হয়েছে অনলাইনে, ফার্স্ট ইন্টারনালের আগে আমাদের বলা হয়েছিল অনলাইনে পরীক্ষা হবে। কিন্তু হঠাৎ করে পরীক্ষার চার সপ্তাহ আগে আমাদের বলা হচ্ছে পরীক্ষা হবে অফলাইনে। আমাদের অর্ধেক সিলেবাস শেষ হয়নি,ক্লাস হয়নি এটা কীভাবে সম্ভব, কীভাবে আমরা পরীক্ষা দেব। আমরা পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। সমস্ত ক্লাস যখন অনলাইনে হয়েছে তখন পরীক্ষাও অনলাইনেই নিতে হবে। তা ছাড়া আমাদের একটাও প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসও হয়নি।’ অন্যদিকে আরেক ছাত্র অরিন্দম দের বক্তব্য, ‘ আমাদের আন্দোলন অনলাইন পরীক্ষার জন্য। কলেজ খোলা মাত্র হঠকারীতায় আমাদের পরীক্ষার নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হল। আমাদের অর্ধেক ক্লাসও হয়নি। ফলে আমাদের পক্ষে কীভাবে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব। আমরা কলেজের বিরুদ্ধে নই, আমরা শুধু কাউন্সিলের কাছে জবাব চাই।’