Facebook: কৃত্রিম মাথায় বাংলার ‘ভাষা সন্ত্রাস’ রুখতে ব্যর্থ ফেবু! চাঞ্চল্যকর তথ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Oct 07, 2021 | 7:11 PM

Facebook: ভারতে সর্বাধিক প্রচলিত দুই আঞ্চলিক ভাষাই হচ্ছে হিন্দি ও বাংলা। এবং এই দুই ভাষায় যদি কোনও আপত্তিকর পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করা করা হয়, সে ক্ষেত্রে তা আটকাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

Facebook: কৃত্রিম মাথায় বাংলার ভাষা সন্ত্রাস রুখতে ব্যর্থ ফেবু! চাঞ্চল্যকর তথ্য
বাংলায় উস্কানিমূলক তথ্য ধরতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে ফেসবুক। অলঙ্করণ-অভীক দেবনাথ

Follow Us

সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না ফেসবুকের (Facebook)। দিন তিনেক আগেই টানা ৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পরিষেবা বিপর্যয়ের জেরে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লোকসান হয়েছে ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গের। এর মধ্যেই উঠে এসেছে আরেকটি চমকে দেওয়া তথ্য। ভারতের আঞ্চলিক ভাষা ‘পড়তে’ এবং বুঝতে না পারার কারণেই নাকি সন্দেহজনক, উস্কানিমূলক বা ভুয়ো কোনও তথ্য আটকাতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে ফেসবুক। ভারতে সর্বাধিক প্রচলিত দুই আঞ্চলিক ভাষাই হচ্ছে হিন্দি ও বাংলা। এবং এই দুই ভাষায় যদি কোনও আপত্তিকর পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করা করা হয়, সে ক্ষেত্রে তা আটকাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এর ফল যে কী ভঙ্কয়র হতে পারে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

একটি প্রযুক্তিগত গোপন তথ্য উদ্ধারকারী সংস্থার পক্ষ থেকে ফেসবুকের অন্তর্বর্তী কিছু নথিপত্র প্রকাশ্যে এনে দাবি করা হয়েছে, ভারতের এই দুই আঞ্চলিক ভাষা-সহ মোট ২০ টি ভাষার তথ্য যাচাই করতে পুরোপুরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) উপর ফেসবুক নির্ভর করে থাকে। যে ক্ষেত্রে এই বুদ্ধিমত্তা কোনও আপত্তিকর তথ্য বুঝতে অক্ষম হয়, তখন তা আটকে উঠতে পারে না বিশ্বের এই বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

ওই একই সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ আমেরিকার বাইরে গোটা বিশ্বে ভুয়ো পোস্ট এবং তথ্যের সঙ্গে যুঝতে মোট বাজেটের মাত্র ১৩ শতাংশ খরচ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকের অন্তর্বর্তী নথিপত্রেই নাকি এ কথায় সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। ভারতে ফেসবুকের মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি হলেও ভুয়ো তথ্য ছড়ানো আটকাতে যতটা সচেষ্ট হওয়া দরকার, ফেসবুক ভারতের মতো দেশে সেই দিকে যথেষ্ট সক্রিয় নয় বলেই সম্প্রতি অভিযোগ জানানো হয়েছে মার্কিন নিরাপত্তা কমিশনে।

পশ্চিমবঙ্গের বিষয়েও আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। প্রযুক্তিগত গোপন তথ্য উদ্ধারকারী সংস্থা মার্কিন নিরাপত্তা কমিশনে ফেসবুকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। যেখানে বলা হয়েছে, এ রাজ্যের ৩৫ শতাংশের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী এমন কিছু গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘রিপোর্ট’ করেছেন যেখানে রাজনৈতিক প্রচারের জন্য নিয়ম করে ভুয়ো, অর্থসত্য এবং অসত্য তথ্য পোস্ট করা হয়। কিন্তু এই গ্রুপগুলির বিরুদ্ধে কখনই তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দাবি, বিগত কয়েক বছরে উস্কানিমূলক পোস্টের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পেরেছে তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেসবুকের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কোনও ব্যবহারকারী ফেসবুকে আগে যে পরিমাণ উস্কানিমূলক বা ভুয়ো তথ্য দেখতে পেতেন, তার পরিমাণ গত এক বছরে ৫০ শতাংশ থেকে ০.০৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে শুধুমাত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ভরসা না করে ২০ টির বেশি ভারতীয় ভাষার জন্য একপ্রকার তথ্য ‘পরীক্ষক’ নিয়োগ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। যার মাধ্যমে উস্কানিমূলক ও ভুয়ো যে কোনও ধরনের তথ্যে লাগাম দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Facebook Whistleblower: আমার-আপনার সুরক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ফেসবুক! গোপন নথি ফাঁস করে বিস্ফোরক দাবি মহিলার

Next Article