গুরুং আমার ভাল বন্ধু, চিরদিন ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে, বললেন বিজেপি সাংসদ

সুমন মহাপাত্র |

Dec 06, 2020 | 8:31 PM

তিনি আরও জানান, রাজনীতিতে কখন কী হয়, কেউ জানে না।

গুরুং আমার ভাল বন্ধু, চিরদিন ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে, বললেন বিজেপি সাংসদ
ফাইল চিত্র

Follow Us

জলপাইগুড়ি: বিজেপি থেকে তৃণমূল, তৃণমূল থেকে বিজেপি, ফের তৃণমূল- সময়ের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের এ হেন রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনকে স্বাভাবিকই দেখছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা (John Barla)। একটা সময় বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। কাছ থেকে দেখেছেন গুরুংয়ের উত্থান-পতন। এই মুহূর্তে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে সমালোচনার পথে হাঁটলেন না জন বারলা।

রবিবার ধূপগুড়ির ব্লকের ডায়না চাবাগানে সাংবাদিক বৈঠকে বারলা বলেন, “বিমল গুরুংয়ের (Bimal gurung) সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল। থাকবে। রাজনীতিতে উত্থান-পতন রয়েছে। উনি কোন দলে সেটা ব্য়াপার নয়। গুরুং আমার ভাল বন্ধু। সেই বন্ধুত্ব চিরদিন থাকবে।” তিনি আরও জানান, রাজনীতিতে কখন কী হয়, কেউ জানে না। তবে, গুরুংয়ের এই সভা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন তোলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত গুরুং। তাঁকে এসকর্ট করে নিয়ে গেল কেন পুলিস? তাঁর আরও তোপ, মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ভাগ চাইছেন কিনা স্পষ্ট করুন। ইউএপিএ ধারায় পুলিস মামলা করেছে। আর সেই পুলিসই আবার এসকর্ট করছে। এটা বাংলার লজ্জা। পুলিস কমিশনার এর উত্তর দিন। বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূলের দালাল পুলিস। সংবিধান, আইনের শাসন কিছুই মানছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

আরও পড়ুন: পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই, মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন গুরুংয়ের

এদিন সভামঞ্চ থেকে আরও একবার বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিমল গুরুং। বিজেপিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’-এর তকমা দেন এই মোর্চা নেতা। বলেন, “বিজেপি আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমাদের পৃথক রাজ্যের দাবি ছিল। বারবার দিল্লিতে ওদের কাছে গিয়েছি। নেতা, মন্ত্রীদের সামনে দরবার করেছি। কিন্তু আমাদের পাত্তা দেওয়া হয়নি। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।” এই মঞ্চ থেকেই গুরুং হুঁশিয়ারি দেন উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে মোর্চা। তৃণমূলের সঙ্গে থেকে এই লড়াই লড়বে। গুরুং বলেন, “উত্তরবঙ্গে প্রতিটা আসনে আমরা তৃণমূলকে জেতাব। এই লড়াই আমাদের নিজেদের গোর্খাল্যান্ডের দাবির প্রতি লড়াই।”

আরও পড়ুন:রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্ত গুরুংকে এসকর্ট করল কেন পুলিস? প্রশ্ন বিরোধীদের

গুরুং এর সভা নিয়ে সায়ন্তন বসুর আক্রমণ, মোর্চা নেতারা বলছেন বিজেপি প্রতিশ্রুতি রাখেনি। তারাই বলছে তৃণমূলের সঙ্গে তারা থাকবে। এবার মুখ্যমন্ত্রী বলুন কি চান। আর বাংলার মানুষ ঠিক করুন তাঁরা কি করবেন। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, পাহাড় যখন অশান্ত ছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী গুরুংকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়েছিলেন। এখন ভোটে জেতার অপেক্ষায় গুরুংকে সঙ্গে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য আল-কায়েদা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গেও আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে নেবেন।

Next Article