মালদহ: উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary) অকৃতকার্য পড়ুয়াদের আন্দোলন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের শিক্ষামহলে চলছে ব্যাপক চাপান-উতর। ফেল করার পরেও পাশ করানের দাবির বাস্তবিকতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরেই উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করার পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলন দেখা যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। আন্দোলনের আঁচ দেখা যায় মালদহতেও (Malda)। আন্দোলনে নামতে দেখা যায় হবিবপুরের আরএন রায় গার্লস হাইস্কুলের বহু পড়ুয়াকেই। তাঁদের নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল স্কুলেরই ছাত্রী শম্পা হালদারকে(১৮)। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শম্পা নিজেও পাশ করতে পারেননি। সেই শম্পাই এবার বেছে নিল আত্মহত্যার পথ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদাজুড়েই।
শনিবার বাড়ির ছাদে চিলেকোঠায় ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করার পর নিয়মিত প্রথমসারিতে থেকে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল শম্পাকে। ডিআই, এসআই অফিসে ধর্না থেকে শুরু করে পথ অবরোধ সব কিছুতেই গলা চিরে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছিল শম্পাকে। কিন্তু, সেই মেয়েই অবসাদের কারণে কী করে আত্মহত্যা করল তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউই। এদিকে শম্পার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকাতেই। শোকের ছায়া নেমেছে আরএন রায় গার্লস হাইস্কুলে।
ঘটনা প্রসঙ্গে শম্পার বাবা খুশি হালদার বলেন, “পাস করানোর দাবিতে ওরা বেশ কয়েকদিন আন্দোলন করছিল। প্রথমে ওরা বিডিও অফিস যায়। সেখান থেকে তাঁদের এসআই অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই পথ অবরোধ করেন বেশ কয়েকজন ছাত্রী। ১-২ নম্বরের জন্য কেন ফেল করা হবে সেই দাবিকে সামনে রেখেই চলে ওদের আন্দোলন। কিন্তু, কিছুতেই কোনও কাজ না হওয়াতেই অবসাদে ভুগছিল। গতকাল থেকে বেশ খানিকটা চুপচাপও ছিল। রান্নাও করছিল। কিন্তু আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই কাজ করে ফেলে”। এদিকে শম্পার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর বন্ধু মহলেও।