Minakshi Mukherjee Fan: মঞ্চে মীনাক্ষী, ‘প্রিয় নেত্রী’কে ছোট্ট কিপ্যাড ফোনে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা

Ashique Insan | Edited By: Soumya Saha

May 08, 2023 | 11:33 PM

Minakshi Mukherjee: স্টেজের নীচে দাঁড়িয়ে অনেকেই, শুনছেন নেত্রীর বক্তব্য। সেখানে অনেকে ফোনে ছবি তুলছেন, কেউ আবার ভিডিয়ো করছেন। ঠিক তখনই দেখা গেল একজনকে নেত্রীর বক্তৃতার ভিডিয়ো করছেন পুরোনো ছোট্ট কিপ্যাড ফোনে।

Minakshi Mukherjee Fan: মঞ্চে মীনাক্ষী, প্রিয় নেত্রীকে ছোট্ট কিপ্যাড ফোনে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়

Follow Us

গুপ্তিপাড়া: স্মার্ট ফোন নেই। স্মার্ট ফোনের মতো হয়ত অতো বড় স্ক্রিনও নেই তাঁর ছোট্ট ফোনে। তাই ছোট্ট ফোনের ছোট্ট স্ক্রিনেই চলছে ভিডিয়ো ধরে রাখার প্রচেষ্টা। হোক না ভিডিয়ো অস্পষ্ট, তবুও ‘প্রিয় নেত্রী’ যখন জনসভায় বক্তৃতা রাখছেন, তখন তো ক্যামেরা বন্দী তো করতেই হয়। সোমবার হুগলির গুপ্তিপাড়ার এসএমআইটি কলেজ মাঠে ছিল ডিওয়াইএফআই (DYFI) রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের (Minakshi Mukherjee) জনসভা। কানায় কানায় ভরে ওঠে জনসভার মাঠ। স্টেজে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন বাম নেত্রী তথা ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। স্টেজের নীচে দাঁড়িয়ে অনেকেই, শুনছেন নেত্রীর বক্তব্য।

সেখানে অনেকে ফোনে ছবি তুলছেন, কেউ আবার ভিডিয়ো করছেন। ঠিক তখনই দেখা গেল একজনকে নেত্রীর বক্তৃতার ভিডিয়ো করছেন পুরোনো ছোট্ট কিপ্যাড ফোনে। পরিচয় নিয়ে জানা গেলো, তিনি হুগলির কুন্তীঘাটের বাসিন্দা সুকুমার দাস। তিনিও এসেছিলেন মীনাক্ষীর জনসভায়। স্মার্টফোন নেই তাতে কী? প্রিয় নেত্রীর বক্তৃতা ধরে রাখলেন, তার নিজের আড়াই ইঞ্চি স্ক্রিনে ফোনে।

তিনি বলেন, ‘আমার যতটুকু সামর্থ্য ছিল আমার ছোট মোবাইল দিয়ে সেই ছবি তুললাম। দলকে অনেক ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসি। দিদির বক্তৃতা শুনতে ভালো লাগে। তাই ওনার বক্তৃতা ফোনে তুলে রাখলাম। উনার বক্তব্য আগে অনেক শুনেছি টিভিতে তবে হাতের কাছে কোনওদিন পায়নি। তাই আজ কাছে পেয়ে আমার ছোট মোবাইলে যতটা পারলাম তুলে রাখলাম।’

বামেদের তরুণ প্রজন্মের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বাম যুব রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথের মাঝে মীনাক্ষীকে ময়দানে নামিয়ে দিয়েছিল বামেরা। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াই দিয়ে গিয়েছেন তিনি সেখানে। ভোটে অবশ্য জিততে পারেননি তিনি, কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন মীনাক্ষী। এরপর বাম ছাত্র-যুবদের ধর্মতলায় ইনসাফ সভার আগে মীনাক্ষীকে ‘ক্যাপ্টেন’ বলে সম্বোধন করে ডিজিটাল প্রচারও দেখা গিয়েছে।

Next Article