হুগলি: দিল্লি রোডে ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বহু মানুষ। সোমবার সন্ধ্যায় একটি মারুতি অল্টো গাড়ি ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার। মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার দুর্ঘটনা ঘটলেও হুঁশ ফিরছে না পুলিশ-প্রশাসনের। ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিও সেভাবে চোখে পড়ে না বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
স্থানীয় মুড়ি কারখানা থেকে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন দুই মহিলা। হুগলির ভদ্রেশ্বরের শ্বেতপুরের কাছে প্রচণ্ড গতিতে আসা একটি অল্টো গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারলে, তাঁরা ছিটকে পড়ে যান। মৃতদের নাম তাপসী রুই দাস(৪৫) ও সুপ্রিয়া রুই দাস(৪০)। তাঁদের বাড়ি সিঙ্গুর থানার নপাড়া রুইদাস পাড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, গর্জি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি চেক করছিল, প্রতিদিনই সেখানে ধরপাকড় করে পুলিশ। মারুতি গাড়িটি সেখানে না দাঁড়িয়ে সজোরে চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি চেক করার নামে টাকা তোলে বলে অভিযোগ। আর তার ফলেই এই দুর্ঘটনা! শ্বেতপুর মোড়ে ট্রাফিক কিয়স্ক আছে, সেখানেও কাউকে কর্তব্যরত অবস্থায় দেখা যায় না বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। মৃতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার সন্ধ্যার পর বেশ কিছুক্ষণ দিল্লি রোড অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। উল্লেখ্য, গত মাসে শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরেও দিল্লি রোডে ডাম্পারের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল।
এদিন দুর্ঘটনার পর ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের মৃতদেহ তুলতে বাধা দেওয়া হয়। পরে প্রায় তিন ঘণ্টা পর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ।