Awas Yojana: ঠিকাদারকে দেওয়া টাকা গেল কোথায়? আবাসের কাজে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে নাম জড়াল TMC নেতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 10, 2023 | 11:54 AM

Awas Yojana: ডানকুনি পুরসভার পুরপ্রধান হাসিনা শবনমের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিতও জানিয়েছেন মনিরা খাতুন। সেখানে সরাসরি প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর 'আপ্তসহায়ক'-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

Awas Yojana: ঠিকাদারকে দেওয়া টাকা গেল কোথায়? আবাসের কাজে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে নাম জড়াল TMC নেতার
আবাসের টাকা নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ ডানকুনিতে

Follow Us

ডানকুনি: আবাসের (Awas Yojana) কাজ নিয়ে এবার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC) এক প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তির ডানকুনি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ইউনুস আলি লস্করের বিরুদ্ধে। তাঁর পুর এলাকারই বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ লস্কর। হাবিবুল্লাহর দাবি, ২০১৯ সালে আবাস যোজনার তালিকায় নাম আসে তাঁর মা মনিরা খাতুন লস্করের। সেই মতো প্রথম কিস্তির টাকাও ঢুকেছিল অ্যাকাউন্টে। ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু সেই টাকা আত্মসাৎ করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ হাবিবুল্লাহর। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ওই টাকা ঢোকার পর প্রাক্তন কাউন্সিলর ইউনুস আলি লস্করের ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট’ বলে পরিচিত কামরুদ্দিন লস্কর নামে এক ব্যক্তি মনিরা খাতুনকে নিয়ে ব্যাঙ্কে যায়। সঙ্গে ছিল বাড়ি তৈরির এক ঠিকাদারও। সেই টাকা তুলে ঠিকাদারকে দিয়ে দেয় প্রাক্তন কাউন্সিলরের ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট’। সাঁতরাগাছির ওই ঠিকাদার কাউন্সিলরের মারফতই এসেছিল বলে দাবি হাবিবুল্লাহর।

হাবিবুল্লাহ আরও জানান, ২০১৯ সালে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে এতগুলি বছর পেরিয়ে গেলেও বাড়ি তৈরি হয়নি। উল্টে একাধিকবার টাকা ফেরত চাইতে গেলেও, প্রতিবারই কোনও না কোনও অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় বাড়ি তৈরির ওই টাকা ফেরত পেতে পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। ডানকুনি পুরসভার পুরপ্রধান হাসিনা শবনমের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিতও জানিয়েছেন মনিরা খাতুন। সেখানে সরাসরি প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর ‘আপ্তসহায়ক’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তৃণমূলের তরফে চালু করা ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর হেল্পলাইন নম্বরেও ফোন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল প্রাক্তন কাউন্সিলর ইউনিস আলি লস্করের সঙ্গেও। তিনি অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, কেন ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে, সেটি নিয়ে। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি তাঁর। বলেন, “আমি প্রথমেই বলেছিলাম, যাঁর বাড়ি তিনি নিজে করাবেন। কোনও ঠিকাদারকে দিতে বারণ করেছিলাম। এবার ওদের সুবিধা মতো ওরা যা ভাল বুঝেছে করেছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডেই ঠিকাদারদের দিয়ে কিছু কিছু কাজ করানো হয়েছে। তারা নিজেরা যোগাযোগ করেই সেই কাজ করিয়েছেন।” সেই সঙ্গে কাউন্সিলরের ‘আপ্তসহায়ক’ বলে উল্লেখ করা নিয়েও আপত্তি ইউনিস আলি লস্করের। বলছেন, “আমি পঁচিশ বছর ধরে দল করছি। কাউন্সিলরেরও যে আপ্তসহায়ক হয়, আমি কোনওদিন শুনিনি।” সঙ্গে প্রাক্তন কাউন্সিলরের আরও দাবি, ঠিকাদার টাকা ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে।

ডানকুনি পুরসভার পুরপ্রধান হাসিনা শবনম জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে এবং গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তিনিও বলছেন, প্রকল্পের কাজের শুরুর সময় উপভোক্তাদের ডেকে বোঝানো হয়েছিল যাতে তাঁরা নিজেরা নিজেদের বাড়ি তৈরি করান। কোনও ঠিকাদারকে যাতে না দেওয়া হয়। এই নিয়ে ফ্লেক্স বানিয়েও মানুষের মধ্যে প্রচার করা হয়েছিল বলেও জানান পুরপ্রধান।

এদিকে আবাস নিয়ে এই অভিযোগের বিষয়ে ডানকুনির বিজেপি নেতা গুঞ্জন চক্রবর্তী বলছেন, গোটা পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে, ডানকুনিও তার ব্যতিক্রম নয়। আবাসের কাজে টাকা-পয়সার নয়ছয় সর্বত্র হয়েছে বলে দাবি ওই বিজেপি নেতার।

Next Article