খানাকুল: এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন খোদ শাসক দল তৃণমূলের এক নেত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুলে। সেখানকার এক তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ তুলেছেন খানাকুল থানার এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ওই নেত্রীর অভিযোগ, ওই পুলিশ আধিকারিক নাকি তল্লাশির নামে বাড়ির গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছেন। এই নিয়ে তিনি স্থানীয় বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, মহকুমাশাসক ও আরামবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন। ওই তৃণমূল নেত্রীর দাবি, সেই সময় কোনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। এমনকী ঘটনার সময় তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা না হলে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ওই নেত্রী।
জানা গিয়েছে, গতরাতে খানাকুল থানা এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে একটি সংঘর্ষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। ঘটনায় এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় বিজেপির তরফে ওই তৃণমূল নেত্রীর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আর এরপরই সোমবার রাতে খানাকুল থানার পুলিশ ওই তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে হানা দেয়। সেই সময় বাড়ির গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। নেত্রীর দাবি, সেই সময় বাড়িতে তিনি ছাড়াও তাঁর শাশুড়ি ও মেয়ে ছিলেন। পুলিশকর্মীরা তাঁকে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ ওই তৃণমূল নেত্রীর।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিডিও জানিয়েছেন, “গতরাতে একটি ঘটনা ঘটেছিল, সেই খবর আমার কাছেও এসেছিল। ওনার অভিযোগই শুধু নয়, আমিও খোঁজখবর নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। তাতেও দেখা যাচ্ছে, পুলিশ এসেছিল সদলবলে। সেখানে তাঁকে হুমকি দিয়েছেন, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। উনি বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও কর্ণপাত না করে বাড়িতে প্রচুর ভাঙচুর চালিয়েছেন। উনি আজ সকালে আমার কাছে কাঁদতে কাঁদতে এসেছিলেন। তিনি সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যদি এমন ঘটনা সত্যিই হয়ে থাকে, আইনানুগ যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার… আমার তরফ থেকে বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনে অবশ্যই আমরা সেই সুরাহা করব। ওনার যদি কোনও সুরক্ষার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমার তরফ থেকে যা যা সাহায্য করার, তা করব, সেই কথাও বলেছি।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছেন, “ওই পুলিশ আধিকারিক জেনে বুঝেই এই কাজ করছেন। খানাকুলের মানুষের প্রশাসনের উপর আস্থা-ভরসা হারিয়ে যাচ্ছে। ওই নেত্রী এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। তিনি বিডিওকে জানিয়েছেন, আমাদেরকেও জানিয়েছেন বিষয়টি। এভাবে চলতে থাকলে খানাকুল শেষ হয়ে যাবে।”